পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের থানাপাড়া এলাকায় পদ্মার তীর ভাঙছে। কয়েক দিন ধরে এ ভাঙন তীব্র হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
জানা গেছে, দুই সপ্তাহের ব্যবধানে নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধের নিচে আধা কিলোমিটার এলাকা পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এতে এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। হুমকিতে পড়েছে নদীর বাঁধ।
সাঁড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রানা সরদার বলেন, এখানকার ইসলামপাড়া, থানাপাড়া, ব্লকপাড়াসহ নদীতীরবর্তী তিনটি গ্রামের সামনে নির্মিত পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের নিচে চরের আধা কিলোমিটারের বেশি জমি ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়েছে। গ্রাম তিনটিতে পাঁচ শতাধিক মানুষের বাস।
নির্মাণের সময় বাঁধের নিচে চর পড়েছিল। খননযন্ত্র দিয়ে চরের মাটি
অপসারণের পর সেখানে বালুর বস্তা ও ব্লক ফেলা হয়েছিল। বর্তমানে সেই জায়গাগুলোও হুমকির মুখে। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সাঁড়ার ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের উদ্বোধন করেন পাবনা-৪ আসনের সাংসদ নুরুজ্জামান বিশ্বাস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা, ইউপি চেয়ারম্যান রানা সরদার, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসাইন প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সাঁড়া ইউনিয়নে নতুন করে ভাঙন শুরু হওয়ায় নদীতীরবর্তী মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে জরুরি ভিত্তিতে ভাঙনকবলিত এলাকায় বালুবোঝাই জিও বস্তা ফেলা শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকেই ভাঙনরোধে এসব কাজ শুরু হয়। এতে সাঁড়ার পাঁচটি স্পটে মোট ১৩০ মিটার দৈর্ঘ্যে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ে জন্য মোট পাঁচ প্যাকেজে কাজ করা হবে। প্রতিটি প্যাকেজের জন্য প্রাথমিক ব্যয় হবে ৩০ লাখ টাকা। সাঁড়ায় অনেক এলাকাজুড়ে নদী ভাঙছে। গত শুক্রবার থেকে জরুরি ভিত্তিতে ডাম্পিংয়ের কাজ শুরু করেছে।