হজ তিন প্রকার। এক. ইফরাদ হজ অর্থাৎ হজের মাসে শুধু হজ করা। দুই. তামাত্তু হজ অর্থাৎ হজের মাসে দুই ইহরাম দিয়ে হজ ও ওমরাহ করা। ওমরাহর জন্য মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধবে আর হজের জন্য ৭ বা ৮ তারিখ মক্কাতেই ইহরাম বাঁধবে। প্রথমে ওমরাহর জন্য তাওয়াফ, সাই করা ও মাথা মুণ্ডানো সেরে নেবে। এরপর হজের জন্য ইহরাম বেঁধে মক্কাবাসীর মতো হজের কাজ সম্পন্ন করবে। তিন. কিরান হজ অর্থাৎ হজের মাসে এক ইহরামে হজ ও ওমরাহ করা। কিরানে মিকাত থেকে একই সঙ্গে হজ ও ওমরাহর ইহরাম বাঁধতে হয়।
এই তিন প্রকারের হজের মধ্যে সব কটিই হাদিস থেকে প্রমাণিত ও শুদ্ধ। তবে কোনটি উত্তম, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর মতে, কিরান উত্তম, এরপর তামাত্তু, এরপর ইফরাদ। ইমাম শাফেয়ি (রহ.)-এর মতে, ইফরাদ উত্তম, এরপর তামাত্তু, এরপর কিরান। ইমাম মালিক (রহ.)-এর মতে, তামাত্তু উত্তম, এরপর কিরান, এরপর ইফরাদ।
সাধারণভাবে কিরান হজ উত্তম। তবে যাদের হজযাত্রা জিলহজের ৮ তারিখের বেশ কিছুদিন আগে হয়, তাঁদের জন্য তামাত্তু হজ করাই উত্তম। বিশেষ করে নারীদের জন্য, যাতে তাদের চলাফেরায় কোনো ধরনের কষ্ট না হয়। অতএব শক্ত-সামর্থ্য লোকদের জন্য কিরান হজ উত্তম হলেও দুর্বল লোকদের জন্য তামাত্তু হজই উত্তম। আর যারা বদলি হজ করবে, তাদের জন্য ইফরাদ হজই উত্তম। বদলি হজে তামাত্তু ও কেরান হজ অসিয়ত বা অনুমতি থাকলেই বৈধ হবে। (আহসানুল ফাতাওয়া)
লেখক: সহযোগী অধ্যাপক, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়