জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে এবার ধর্মঘট ডেকেছেন মৎস্যজীবীরা। গতকাল রোববার দেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরগুনা জেলার প্রায় ২ হাজার মাছ ধরার ট্রলারের সাগরে যাওয়া অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন তাঁরা।
‘ডিজেলের দাম কমাতে হবে, মৎস্য সেক্টর রক্ষা করতে হবে’—এই স্লোগান সামনে রেখে গতকাল বেলা ১১টায় পাথরঘাটা পৌর শহরের শেখ রাসেল স্কয়ার চত্বরে মানববন্ধন করেছে বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতি, বরগুনা জেলা ফিশিং ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বিএফডিসি মৎস্য আড়তদার সমিতি, বিএফডিসি মৎস্য পাইকার সমিতি ও বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নসহ মৎস্য সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত বিভিন্ন সংগঠন। এতে অংশ নেন কয়েক হাজার মানুষ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজ (রোববার) থেকেই প্রায় ২ হাজার মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যাওয়া বন্ধ। পাশাপাশি যেসব ট্রলার সাগরে আছে সেগুলো কূলে এলে আর সাগরে যেতে দেওয়া হবে না। পরে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) মাধ্যমে তিন দফা দাবি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। দাবিগুলো হলো, অনতিবিলম্বে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে পূর্বের নির্ধারিত দাম নির্ধারণ করা, বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জলসীমায় বিদেশি ট্রলার অনুপ্রবেশ বন্ধ করা এবং দেশীয় জলসীমায় নির্ধারিত জায়গায় ট্রলিং জাহাজবাইচ নিশ্চিত করা।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে পৌর কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম কাঁকন বলেন, দেশের গুটিকয়েক প্রভাবশালী ব্যবসায়ী চোরাই পথে ডিজেল পাচার করে, তাঁদের আইনের আওতায় এনে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে তেলের যেমন সংকট হবে না, তেমনি অসাধু ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াতে পারবে না। এতে আরও বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুম মিয়া, পাইকার সমিতির সভাপতি সাফায়েত মুন্সি, আড়তদার সমিতির সভাপতি জাহাঙ্গীর জোমাদ্দার, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসাইন প্রমুখ।
পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসাইন মুহাম্মদ আল-মুজাহিদ জানান, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মৎস্য পেশায় সংশ্লিষ্ট কয়েক শ মানুষ এসে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি পৌঁছানো হবে।