বগুড়ার নন্দীগ্রামে পাঁচ বছর পর কবর থেকে সাংবাদিক শফিউল আলম বিপুলের লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। গতকাল বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বর্ষণ গ্রাম থেকে তাঁর লাশ উত্তোলন করে পুলিশ।
নিহত শফিউল আলম বিপুল দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সকালের আনন্দ পত্রিকার নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন।
বিপুলকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করার অভিযোগ এনে তাঁর ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত বছরের ৬ ডিসেম্বর আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে মামলাটি চলতি বছর ৯ সেপ্টেম্বর থানায় রেকর্ডভুক্ত হয়।
এরপর আদালতের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন, উপজেলার বর্ষণ গ্রামের আমিনুল ইসলাম জুয়েল, আব্দুল মান্নান, মোজাম্মেল হক, আব্দুল মজি, মানিক উদ্দিন, খোকন হোসেন, কোলদিঘী গ্রামের সাইদুল ইসলাম ও বরেন্দ্র পাকুরিয়াপাড়া গ্রামের আবু সাঈদ।
বিপুলের ছোট ভাই কামরুল হাসান বলেন, ‘২০১৬ সালে ১৮ জুন আসামিরা পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে। ঘটনার দিন আমার ভাইয়ের মোটরসাইকেলের পেছনে থাকা জুয়েল আমার ভাইয়ের মাথায় আঘাত করেন। এরপর ওই হত্যার ঘটনাটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা বলে প্রচার করেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।