ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) দরপত্রের লটারি নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারদের অনুপস্থিতিতে ও গোপন লটারির মাধ্যমে তিনটি কাজ পছন্দের প্রতিষ্ঠানকে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে করেছেন ঠিকাদারেরা।
এই নিয়ে গত রোববার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলামের সঙ্গে ঠিকাদারদের বাদানুবাদ হয়। পরে তোপের মুখে ওই তিন কাজের লটারি বাতিলের ঘোষণা দেন এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির আওতাধীন বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের জন্য ৩৬টি দরপত্র আহ্বান করা হয়। রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলজিইডির সভাকক্ষে দরপত্রে অংশ নেওয়া ঠিকাদারদের উপস্থিতিতে প্রতিটি কাজের জন্য লটারি হওয়ার কথা ছিল। তবে ৩৩টি কাজ বাকি রেখে বেশি মূল্যের তিনটির লটারি কম্পিউটার অপারেটর তরিকুল ইসলামকে নিয়ে আগেই গোপনে করে ফেলেন প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম।
গোপন লটারির খবর ছড়িয়ে পড়লে ঠিকাদারেরা এলজিইডি কার্যালয়ে গিয়ে প্রকৌশলী শিরাজুল ও কম্পিউটার অপারেটর তরিকুলের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। পরে সন্ধ্যায় ঠিকাদারদের তোপের মুখে গোপনে করা তিন কাজের লটারি বাতিলের ঘোষণা দেন প্রকৌশলী শিরাজুল।
কয়েকজন ঠিকাদার অভিযোগ করে বলেন, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার অপারেট তরিকুলের সঙ্গে যোগসাজশ করে তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ পাইয়ে দেন প্রকৌশলী শিরাজুল।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘তিনটি কাজের লটারিতে জটিলতা তৈরি হওয়ায় সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এগুলোর লটারি পুনরায় অনুষ্ঠিত হবে’।