গৌরীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সেই সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে উপজেলা শিক্ষা কমিটি। স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্ত করে এ সুপারিশ করা হয়েছে। গত রোববার বিকেলে উপজেলা শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খানের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুণ-অর-রশিদ গৌরীপুরে আসেন। এ সময় তিনি ভুক্তভোগী পরিবার ও অভিযুক্ত শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলেন।
এর আগে গত রোববারের শিক্ষা কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউএনও হাসান মারুফ, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন, শিক্ষা কমিটির সদস্য আমজাদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন, আম্বিয়া আক্তার প্রমুখ।
শিক্ষা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন খান এবং ইউএনও হাসান মারুফ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট বিভাগে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিকা পারভীন বলেন, শিক্ষা কমিটির চিঠি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর পাঠানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষ অধিকতর তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুণ-অর-রশিদ বলেন, ‘ওই শিক্ষক বিধিবহির্ভূতভাবে নিজ বাসায় কোচিং পড়াতেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি। যৌন হয়রানির অভিযোগের তদন্ত চলছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’