মেহেন্দীগঞ্জে এক বছর ধরে ভাতা পাচ্ছেন না শতাধিক হতদরিদ্র। স্থানীয় কাউন্সিলর মোতালেব হোসেন জাহাঙ্গির ভাতাভোগীদের অনুরোধে একাধিকবার সমাজসেবা কার্যালয়ে ছুটেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেননি। যে কারণে গতকাল বুধবার বঞ্চিত ভাতাভোগীদের নিয়ে সকাল থেকে অনশন করেছেন কাউন্সিলর জাহাঙ্গির। বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনশনরতদের ডেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন।
পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতালেব হোসেন জাহাঙ্গির বুধবার বিকেল সোয়া ৫টায় বলেন, তিনি এখনো অনশনে আছেন। ইউএনও ডেকে পাঠানোয় তাঁর কার্যালয়ে বসে আছেন। গত এক বছর ধরে পৌর এলাকার অন্তত ১০০ হতদরিদ্র বয়স্ক, বিধবা, পঙ্গু ভাতা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার ১০ জন ভাতাভোগী নিয়ে সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে অনশন শুরু করেন। ইউএনও বলেছেন এ সমস্যা সমাধান করে দেবেন।
জানা গেছে, উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে অনশনরত অধিকাংশই সত্তরোর্ধ। উলানিয়া ইউনিয়ন থেকে আসা শত বছরের বৃদ্ধা সূর্য্য বান বলেন, ১০ বছরের পুরোনো বিধবা ভাতার বই এক বছর লুকিয়ে রাখে সমাজসেবা অফিস। পরে নতুন বই প্রদান করলেও গত এক বছর বিধবা ভাতা পাচ্ছেন না। চরহোগলা ১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্মান্ধ ইউনুছ, বাক প্রতিবন্ধী হোসনে আরা, বিধবা ফাতেমাও ছিলেন এ অনশনে।
সমাজ সেবা কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসানকে এ বিষয়ে জানতে ফোন দেওয়া হলেও পাওয়া যায়নি। তিনি প্রশিক্ষণে আছেন বলে তার দপ্তরের স্টাফরা জানান।
মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুননবী বলেন, অভিযোগ পেয়ে দুপুরেই খোঁজ নেন। বিকেলে শোনেন কাউন্সিলর ভাতাভোগীদের নিয়ে তখনও অনশন করছেন। পরে তাদের ডেকে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। যারা তথ্য জটিলতায় পড়েছেন তাদের ভাতার বই ম্যানুয়াল থেকে অনলাইনে যাওয়ার পর থেকে ৯ মাস ধরে ভাতা পাচ্ছেন না। সমাজসেবা কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে আছেন। ১০ জনও ভাতা বঞ্চিত হলে তা কেন হচ্ছে তার জবাব সংশ্লিষ্টদের কাছে চেয়েছেন।