মানুষের দেহ সাজানো ও সতর ঢাকার মাধ্যম পোশাকপরিচ্ছদ। এটি অহংকার প্রকাশের কোনো বিষয় নয়। এর মাধ্যমে যেমন লজ্জা নিবারণ করা যায়, তেমনি ব্যক্তিত্বও প্রকাশ পায়। পোশাকের মাধ্যমে ব্যক্তির প্রকৃতি অনুধাবন করা যায়। তাই পোশাককে ব্যক্তির দর্পণ বললেও ভুল হবে না। কিন্তু এ পোশাক যদি নতুন হয়, তবে তা নির্দিষ্ট দোয়া পাঠ করে পরা সুন্নত।
হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.) নতুন পোশাক পরলে তার নাম উল্লেখ করতেন, চাই তা জামা হোক আর পাগড়ি হোক। এরপর তিনি বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আপনারই প্রশংসা, আপনিই আমাকে এ পোশাকটি পরিয়েছেন। আমি আপনার কাছে এর কল্যাণ ও মঙ্গল প্রার্থনা করছি এবং এর উৎপাদনের মধ্যে যত কল্যাণ ও মঙ্গল রয়েছে, তা প্রার্থনা করছি। আর আমি আপনার আশ্রয় প্রার্থনা করছি এর অকল্যাণ থেকে এবং এর উৎপাদনের মধ্যে যা কিছু অকল্যাণকর রয়েছে তা থেকে।’ (আবু দাউদ)
কাউকে নতুন পোশাক পরিহিত দেখলে তার জন্য দোয়া করাও সুন্নত। মহানবী (সা.) এক সাহাবিকে লক্ষ্য করে বলেন, ‘নতুন পোশাক পরো, প্রশংসিত হয়ে জীবনযাপন করো, শহীদ হয়ে মৃত্যুবরণ করো।’ (ইবন মাজাহ)। মুনযির ইবন মালিক (রহ.) বলেন, মহানবী (সা.)-এর সাহাবিদের নীতি ছিল যে তাঁদের মধ্যে কেউ নতুন পোশাক পরলে তাঁকে শুভকামনা জানিয়ে বলা হতো, ‘এই পোশাক তোমার দেহেই পুরোনো ও জীর্ণ হয়ে যাক এবং মহান আল্লাহ এর পরিবর্তে তোমাকে অন্য পোশাক দান করুন।’ (আবু দাউদ)
লেখক: অধ্যাপক, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়