শেরপুরের শ্রীবরদীতে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর নাম মো. আব্দুস সামাদ (৫৫)। বাড়ি শেরপুর সদর উপজেলার মোবারকপুর গ্রামে। তিনি পেশায় একজন দর্জি। গত শনিবার রাতে শ্রীবরদী থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত শনিবার দুপুরে শ্রীবরদী উপজেলার ঝিনিয়া বাজারে অবস্থিত সামাদের দর্জির দোকানে ধর্ষণের এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। গ্রেপ্তার সামাদ তাদের পূর্বপরিচিত। সামাদ দর্জির (পোশাক তৈরি) কাজ শেখানোর কথা বলে শনিবার দুপুরে ভুক্তভোগীকে তাঁর দর্জির দোকানে নিয়ে যান। এরপর বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে তিনি (সামাদ) জোরপূর্বক ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। পরে ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে তার বাবা-মা ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে ধর্ষণের ঘটনাটি জানায়। এ সময় স্বজনেরা সামাদের দর্জির দোকানে গিয়ে তাঁকে আটক করে। পরে তাঁকে শ্রীবরদী থানা-পুলিশে সোপর্দ করে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে থানায় মামলা করেছেন। গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদকে আদালতে সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।