তিতাস উপজেলার দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত ৫০ জন নারীকে বিনা মূল্যে ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নারীদের আয়বর্ধক (আইজিএ) প্রশিক্ষণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর এই প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে। এর মাধ্যমে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন প্রশিক্ষণার্থীরা।
প্রশিক্ষণে ১৬ থেকে ৪৫ বছর বয়সী অসহায় নারীরা অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন। দুই ব্যাচে ভাগ করে এ হাতে-কলমে শেখানো হচ্ছে। ১ এপ্রিল শুরু হওয়া প্রশিক্ষণ চলবে ৩০ জুন পর্যন্ত। এই তিন মাসে ৬০ কর্মদিবসে ৩৬০ ঘণ্টা প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। উপজেলা পরিষদ ভবনের একটি কক্ষে এই আয়োজন করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষণার্থী ১৪তম ব্যাচের অন্তর্ভুক্ত।
উপজেলার চর রাজাপুর গ্রামের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমানের মেয়ে শাহিনুর আক্তার এ প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়েছেন। শাহিনুর বলেন, গৌরীপুর মুন্সি ফজলুর রহমান সরকারি ডিগ্রি কলেজে বিএ দ্বিতীয় বর্ষের মানবিক বিভাগে পড়ছেন তিনি। চার ভাই ও দুই বোনের মধ্যে সবার ছোট। লেখাপড়ার পাশাপাশি নিজেকে কর্মক্ষম করতে ফ্যাশন ডিজাইনের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। এর মাধ্যমে আয় করে নিজের পড়াশোনার খরচসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণের আশা করছেন তিনি।
কেশবপুর গ্রামের লিপি আক্তারের (৩৪) স্বামী ফারুক ভূঁইয়া কৃষিকাজ করেন। তাঁদের এক মেয়ে ও এক ছেলে। মেয়ে ফারিয়া আক্তার হোমনা রেহানা মজিদ কলেজে পড়েন। ছেলে ইয়ানুর ভূঁইয়া মাদ্রাসার ছাত্র। সংসারের আয়-ব্যয়ে তিনি ভূমিকা রাখতে চান। এর মাধ্যমে অভাব দূর করে স্বাচ্ছন্দ্য আনতে চান। এ জন্য নিজেকে একজন উপার্জনক্ষম নারী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে এবং ছেলেমেয়ের লেখাপড়ার খরচ নিজেই জোগাতে চান। প্রশিক্ষক গোলাপী আক্তার বলেন, এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণার্থীরা এ বিষয়ে যথেষ্ট ধারণা পাবেন।
উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তা রেহানা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সুবিধাবঞ্চিত নারীদের আয়বর্ধক করে তুলতে আইজিএ প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এটা ১৪তম ব্যাচ। এতে ৫০ জন দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত নারী রয়েছেন। রমজান মাস হওয়ায় দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তিন মাসের কোর্স শেষে সনদ এবং প্রতিজন প্রশিক্ষণার্থী ১২ হাজার টাকা করে পাবেন।’