বৃহত্তর চলনবিলে শুঁটকি তৈরি করে সফলতা পাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দেশের বিভিন্ন জায়গা ছাড়াও বিদেশে রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে এখানকার উৎপাদিত শুঁটকি থেকে। যা জাতীয় আয়েও অবদান রাখছে। নাটোরের গুরুদাসপুরের বিলশা, সাবগাড়ী, পিপলা, খুবজীপুরে, সিংড়া কৃষ্ণপুর, নুরপুর, বামিহাল, মহিষলুটি মাছের আড়তে শুঁটকি মাছ শুকানোয় ব্যস্ত সময় পার করছেন ওই সব এলাকার হাজারো নারী-পুরুষ। করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, চলনবিলাঞ্চলের গুরুদাসপুরে হাজারো শ্রমিক বর্তমানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। চলনবিলের শুঁটকি দেশ ছেড়ে বিদেশেও যাচ্ছে।
চলনবিল অঞ্চলে দেশীয় পদ্ধতিতে শুঁটকি তৈরি করা হচ্ছে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই শুরু হয় তাঁদের কর্মযজ্ঞ। মাছে লবণ মাখানো, মাপজোখ করা, বহন করে মাচায় নেওয়া, বাছাই করাসহ আরও কত কাজ। আর এসব কাজের বেশির ভাগই হয় নারীদের হাতে। মহাজন কেবল মাছ কিনেই দায়মুক্ত। চলনবিলের মিঠা পানির মাছের শুঁটকির বেশ সুনাম রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে রাস্তার পাশেই বিশাল এলাকাজুড়ে বসে শুঁটকি তৈরির কারখানা।
গুরুদাসপুরের শুঁটকি ব্যবসায়ী নান্নু হোসাইন জানান, চলনবিলের শুঁটকির স্বাদ ও মান ভালো হওয়ায় দেশ-বিদেশে এর চাহিদা বেশি।
শুঁটকি তৈরির কাজে নিয়োজিত শ্রমিক রজুফা বেওয়া ও রিনা খাতুন জানান, ৩ কেজি তাজা মাছ শুকিয়ে এক কেজি শুঁটকি তৈরি হয়। লাভ হলেও শুঁটকির ব্যবসায় ঝুঁকিও রয়েছে। ঠিকমতো পরিচর্যা করতে না পারলে শুঁটকিতে পোকা হয়।
গুরুদাসপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আলমগীর কবির জানান, চলনবিলাঞ্চলের অনেকেই শুঁটকির ব্যবসার দিকে ঝুঁকেছেন। অনেকেই তাঁদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছেন। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা হলে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে শুঁটকি ব্যবসা।