রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার বাঘাইল উচ্চবিদ্যালয়ে ঢুকে চার শিক্ষককে মারধরের ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নবনির্বাচিত সদস্য ও তাঁর ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাত ১০টার দিকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন গোদাগাড়ী থানায় একটি মামলা করলে রাত ২টার দিকে তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন গোদাগাড়ীর দেওপাড়া ইউপির সদস্য এমাজ উদ্দিন ও তাঁর ছেলে শিহাব উদ্দিন। গোদাগাড়ী থানার ওসি কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাঘাইল উচ্চবিদ্যালয়ে বর্তমানে আহ্বায়ক কমিটি আছে। ইউএনও কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রধান শিক্ষক সদস্যসচিব।
এমাজ উদ্দিন ১১ নভেম্বর দেওপাড়া ইউপির সদস্য নির্বাচিত হয়েই স্কুলটিতে নতুন কমিটি করে তাঁকে সভাপতি করতে বলছিলেন। এতে বিলম্ব হওয়ায় ২১ নভেম্বর এমাজ উদ্দিন ও তাঁর ছেলে শিহাব উদ্দিন স্কুলে গিয়ে অফিস কক্ষে চার শিক্ষককে পিটিয়ে আহত করেন। এ সময় বঙ্গবন্ধু কর্নারও ভাঙচুর করা হয়। এই হামলার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বুধবার রাতে প্রধান শিক্ষক বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আলতাফ হোসেন বলেন, হামলার পর তাঁরা আতঙ্কিত ছিলেন। তাই মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে। এখনো তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাঁরা নিরাপত্তা চান।