হোম > ছাপা সংস্করণ

তরমুজ

সম্পাদকীয়

সোভিয়েত ইউনিয়নের কুবান অঞ্চলের স্কুলপড়ুয়া দুই বন্ধুর নাম মিশাৎকা আর রোদ্কা। গ্রীষ্মকালে ওরা দুজন ঠিক করল তরমুজ ফলাবে। বিপ্লবের পর সে বছর গরম পড়েছিল খুব। মাটি শুকিয়ে খটখটে হয়ে যাচ্ছিল। দুই বন্ধু মিলে দৌড়ে যাচ্ছিল কুবান নদীতে। বালতি ভরে পানি নিয়ে আসছিল, তারপর মাটিকে পানি খাওয়াচ্ছিল, যেন তরমুজগুলো স্বাস্থ্যবান হয়ে ওঠে।

ওরা তরমুজ ফলাচ্ছিল ভ্লাদিমির ইলিচ লেনিনের জন্য। তাই দুজন তাদের দুটো তরমুজের খুব যত্ন নিচ্ছিল। লেনিনকে পাঠাতে হলে পাঠাতে হবে সেরা তরমুজ!

ওরা তো ছোট, জানতও না কুবান থেকে মস্কো কত দূর। ভেবেছিল, হাঁটতে হাঁটতেই চলে যাবে মস্কোতে। তাই রুটি, চর্বির টুকরো আর দুটো ডিম সরিয়ে রাখল রান্নাঘর থেকে। কিন্তু ধরা পড়ে গেল মায়েদের হাতে। প্রথমে তো স্বীকার করবেই না। কিন্তু যখন বাবারা এল, তখন মারের ভয়ে ওরা স্বীকার করে নিল সব। জানাল, তরমুজ নিয়ে ওরা যাচ্ছিল লেনিনকে উপহার দিতে।

ওদের কথা পছন্দ করলেন বাবারা। বললেন, ‘মন্দ নয়, কুবানের তরমুজ খেতে লেনিনের ভালো লাগবে।’ তখন তারাই বড় বড় তরমুজ দুটো নিয়ে গেলেন হাজার মাইল দূরের মস্কো শহরে। তরমুজ পেয়ে লেনিন ভারি খুশি! আঙুল দিয়ে টোকা মেরে দেখলেন, দূরে দাঁড়িয়ে মাথা হেলিয়ে তারিফ করলেন, বললেন, ‘সুন্দর, সুন্দর, অপূর্ব!’ তারপর ছেলে দুটোকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালেন।

এদিকে মিশাৎকা আর রোদ্কা বুঝে পায় না, কার তরমুজ বেশি মিষ্টি ছিল। কার তরমুজ খেয়ে লেনিন বেশি তারিফ করেছেন? তখন ওরা ঠিক করল, লেনিনকে চিঠি লিখে জানতে চাইবে। কিন্তু চিঠি লেখা হয়ে ওঠেনি। তাতে ভালোই হয়েছে। লেনিন সে তরমুজ চেখেও দেখেননি। লেনিন সেই বাচ্চাদের কথা ভাবলেন, যারা ভালো খেতে পায় না। তিনি শ্রমিক অঞ্চল খামোভ্নিকির অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দিলেন তরমুজ দুটো।

সূত্র: রুশ ইতিহাসের কথা ও কাহিনি, পৃষ্ঠা ২৫৭-২৫৮

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ