হোম > ছাপা সংস্করণ

সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুনে পুড়ে সম্প্রীতির জনপদ

পীরগঞ্জ প্রতিনিধি

দেশের উত্তরাঞ্চলের সম্প্রীতির জনপদে বিদায়ী বছরে দেখা গেছে সাম্প্রদায়িক হিংসার আগুন। পীরগঞ্জের বড় করিমপুর কসবা হিন্দুপল্লিতে ১৭ অক্টোবর রাতে চালানো হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে ২৪টির বেশি ঘর পুড়ে যায়। ফেসবুকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে এই তাণ্ডব চালানো হয়েছিল।

বিক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন রাত ১০টার পর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছুটে এসে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে অর্ধশতাধিক রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে। পরে রাত ১টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনার পর সরকারি, বেসরকারি সহযোগিতা দিয়ে হিন্দুপল্লির বাসিন্দাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরানো হয়।

পল্লির বাসিন্দা পুতুল রানী বলেন, ‘সরকার হামাক ট্যাকা আর টিন দিচে। সেইসাথে ঢাকাত থাকি ছাত্ররা আসি হামাক টিন আর ১০ হাজার ট্যাকা দিচে। সেগলা দিয়া নয়া করি ঘর বানে ঘরোত থাকোচি। একন আর ভয় নাই।’

ক্ষতিগ্রস্ত ননী গোপাল বলেন, ‘আমার চারটি আধপাকা ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ায় পরনের কাপড় ছাড়া ঘরের সব জিনিস পুড়েছিল। যখন ওরা হামার বাড়িত আগুন দেয়, তখন হামরা বাড়ির পাশোত ধানের জমিত বউ, বাচ্চা নিয়া শুতি লুকি আচিনো। এখন আমরা ভালো আছি।’

এই হামলার ঘটনায় চারটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুটি মামলা পীরগঞ্জ থানা-পুলিশ এবং দুটি মামলা রংপুরের সিআইডি তদন্ত করছে। হামলা, লুটপাটের তিন মামলায় ৭২ জন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় একমাত্র আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) সাদ্দাম হোসেন জানান, মামলাটি হওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে একমাত্র আসামিকে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পীরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমি যে মামলা তদন্ত করছি তাতে সাতজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আর এ পর্যন্ত ৭২ আসামি গ্রেপ্তার এবং ছয়টি গরু, তিনটি ছাগল, একটি এলইডি টেলিভিশন ও একটি মাছ ধরার জাল উদ্ধার করে আদালতের নির্দেশে প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।’

পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র বলেন, ‘হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় আমরা সাতজনকে চিহ্নিত করেছি। ওই সাতজন মোস্ট ওয়ান্টেড আসামি পলাতক রয়েছে। তবে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। এখন হিন্দুপল্লির পরিবেশ শান্ত রয়েছে।’

হামলার শিকার পরিবারগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসন কাজ করেছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিরোদা রানী রায়। তিনি বলেন, ‘এখন তাঁরা পেশাগত জীবনে ফিরে এসেছেন। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়িঘর নির্মাণ ও সংস্কার করে দেওয়া হয়েছে। আমরা এখনো হিন্দুপল্লিটি মনিটরিং করছি।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ