হোম > ছাপা সংস্করণ

ভাত

সম্পাদকীয়

পদ্মা নদীর তীরেই ছিল জসীমউদ্‌দীনের বাড়ি। কৈশোরেই তিনি গান লিখতেন, গল্প লিখতেন, কবিতা লিখতেন। ভাবতেন, কলকাতায় যেতে পারলে সেখানকার রসিক সমাজ নিশ্চয়ই জসীমকে বুকে টেনে নেবেন। স্কুলমাস্টার বাবাকে বোঝানোই গেল না, কলকাতায় গেলে ছেলে সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাতি লাভ করবেন।

নবম শ্রেণিতে যখন কবি, তখন অসহযোগ আন্দোলন তুঙ্গে। শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে দিয়ে সেই আন্দোলনে শরিক হয়েছে। জসীমউদ্‌দীনও স্কুল ছেড়ে বহু কষ্টে কলকাতায় পৌঁছালেন। উঠলেন দূরসম্পর্কের এক বোনের বাড়িতে। এই বোনকে তিনি আগে কখনো দেখেননি।

বোনের স্বামী কোনো এক অফিসে দপ্তরির চাকরি করে মাসে কুড়ি টাকা বেতন পেতেন। খুব কষ্ট করে পরিবারটি টিকে আছে। সেই বাড়িতে কবি এসে হাজির হলেন। অচেনা বোন স্নেহের আবেশে জড়িয়ে ধরলেন অচেনা ভাইকে। বাড়িটি ছিল খুবই ছোট। বাতাস খেলে না শেখানে।

ভগ্নিপতি খন্দকার বংশের। পাঁচ টাকা মাসিক বাড়ি ভাড়া দিয়ে প্রথম চার-পাঁচ দিন পোলাও-মাংস খায়। এরপর মাসের শেষদিকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটায়। জসীমউদ্‌দীন যখন সেই বাড়িতে গেছেন, তখন পোলাও-মাংসের পর্ব চলছে। সেটা শেষ হলে বোন বললেন, ‘আমাদের সংসারের অবস্থা তুই জানিস না। এখন থেকে কয়েক দিন আমরা অনাহারে থাকব। তুই বাড়ি চলে যা।’

জসীমউদ্‌দীন বললেন, ‘বুবুজান, কাল থেকে আমি উপার্জন করতে আরম্ভ করব।’

পরদিন ‘নায়ক’ পত্রিকা কিনে ২৫টা বিক্রি করে ১৪ পয়সা উপার্জন করলেন।’ বোন সস্নেহে ভাইয়ের মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, ‘বাড়ি গিয়ে পড়াশোনা কর।’

কিন্তু জসীমউদ্‌দীন অন্য এক হকারের বাড়িতে গিয়ে উঠলেন। কায়-ক্লেশে চলতে লাগলেন। একদিন এক আনা লাভ হয়েছে। চিড়া আর চিনি কিনে বোনের বাড়িতে গেলেন খাবেন বলে। বোন তা দেখে কেঁদে ফেললেন। আদর করে ভাত খাওয়ালেন ভাইকে। বললেন, ‘আমার আজ পেটব্যথা। আমি ভাত খাব না। তুই না খেলে নষ্ট হবে ভাত।’এটা ছিল পবিত্র মিথ্যে কথা।

সূত্র: জসীমউদ্‌দীন, ঠাকুরবাড়ির আঙিনায়, পৃষ্ঠা ১২৪-১২৬

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ