হোম > ছাপা সংস্করণ

নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছেই কমছে কেনার ক্ষমতা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। আয় না বাড়ায় কমেছে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা। ক্রয়ক্ষমতা কমায় বেড়েছে দুর্ভোগ। পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য প্রশাসনের মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন ভোক্তারা। তাঁরা বলছেন, কোনো কিছুর দাম বাড়লে সরকারের কঠোর নজরদারি দরকার। তা না হলে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো পণ্যের দাম বাড়ান।

তবে জেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা হচ্ছে। ভোক্তা অধিকারসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। দামে অসংগতি পাওয়া গেলে জরিমানাও করা হচ্ছে।

‘পাঁচ দিন আগে যে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি, মঙ্গলবার তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১৯০ টাকা। কারণ, পরিবহনের খরচ বেড়েছে।

ময়মনসিংহের সবচেয়ে বড় কাঁচাবাজার মেছুয়া বাজার। তারপর শম্ভুগঞ্জ, সানকিপাড়া এবং মিন্টু কলেজ কাঁচাবাজার। মধ্যরাত থেকে নগরীর মেছুয়া বাজারে ট্রাক-পিকআপ ভ্যানে করে সবজি নিয়ে আসেন ব্যাপারী ও কৃষকেরা। ভোর থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে তাঁরা সবজি বিক্রি করেন। এসব ব্যবসায়ী পাইকারি দামে সবজি কিনে বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে থাকেন। সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহনের খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে কাঁচাবাজারে এর প্রভাব পড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলছেন, উৎপাদনখরচ বেড়ে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁদের বেশি দামে সবজি কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। অনেক সময় সবজি নষ্ট হলে তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

বিভিন্ন বাজার ঘুরে জানা গেছে, ১৫ দিন আগে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়, সোনালি মুরগি ২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। ৩০ টাকা কেজির ঢ্যাঁড়স এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, শসা ৩০ টাকা কেজি থেকে হয়েছে ৬০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা থেকে ৬০ টাকা, কাঁকরোল ৩০ টাকা থেকে হয়েছে ৫০ টাকা, টমেটো ১৪০ টাকা থেকে ১৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা থেকে ২৭০ টাকা। সোনালি মুরগির ডিম (লাল) ৩৪ টাকা থেকে হয়েছে ৫০ টাকা হালি, দেশি মুরগির ডিম ৫০ টাকা হালি থেকে হয়েছে ৭০ টাকা। এ ছাড়াও বাজারে সব পণ্যের দাম বেড়েছে।

পাইকারি সবজি বিক্রেতা সাদেকুর রহমান বলেন, ‘৩০ বছর ধরে কৃষকের কাছ থেকে সবজি কিনে শহরে নিয়ে পাইকারি বিক্রি করছি। সম্প্রতি সবজি আনতে বাহনের ভাড়া দ্বিগুণ বাড়ায় কোনো কোনো দিন লাভ থাকে না। লোকসানও গুনতে হয়। একটা হতাশার মধ্য দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছি। জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে গাড়ির চালকেরা বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। ভাড়া কোনোভাবেই কম মানতে চান না।’

মেছুয়া বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে যে ব্রয়লার মুরগি ১৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি, আজ তা বিক্রি করতে হচ্ছে ১৯০ টাকা। কারণ, উৎপাদন কমার পাশাপাশি পরিবহনের খরচ বাড়ায় মুরগির দাম বেড়েছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামূল হক বলেন, ‘বাজার নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আমরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছি। ভোক্তা অধিকারসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন। দামে অসংগতি পাওয়া গেলে অনেককে জরিমানাও করা হচ্ছে’।

 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ