হোম > ছাপা সংস্করণ

বিস্ফোরণে কাঁপছে কমলগঞ্জ

মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)

কয়েক দিন ধরে গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। ড্রিলিংয়ের পর মাটির ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীরে এ বিস্ফোরণ ঘটানোর কারণে আশপাশের পাকা ও আধা পাকা বসতবাড়িতে বারবার কম্পন হচ্ছে। এতে শিশু ও অসুস্থরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন। বিস্ফোরণে নলকূপ, পাকা দেয়াল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। 
উপজেলার পতনঊষার ইউনিয়নের ধূপাটিলা গ্রামে কয়েক দিন ধরে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (সিএনপিসি)।

জানা গেছে, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ, কুলাউড়া ও জুড়ী উপজেলার ৫০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে জরিপ, ড্রিলিং ও রেকর্ডিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন শুরু করেছে চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশন। কমলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রামগঞ্জ ও বসতবাড়ির আঙিনায় ড্রিলিং করে বিস্ফোরণ ঘটানো হচ্ছে। এতে অসুস্থ রোগী ও শিশুরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে। এ ছাড়া ফসলের জমি নষ্ট, মাটি ধস, পাকা দেয়ালে ফাটল, নলকূপে পানি ওঠাতে সমস্যা, পরিবেশের ক্ষতিসহ ভূমিকম্পের সময় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

দেওছড়া চা-বাগানের রাজু গোড় বলেন, বিস্ফোরণের কারণে আমার ঘরের দেয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। এভাবে চা-বাগানে আরও অনেক শ্রমিকের দেয়ালে ফাটল দেখা দিচ্ছে।

শ্রীসূর্য্য গ্রামের বাসিন্দা ফটিকুল ইসলাম বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে দল বেঁধে কাজের কারণে জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। এখন বাড়িঘরের আশপাশে যে হারে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে তাতে আতঙ্কিত হতে হয়। আর শিশু ও অসুস্থ লোকজনের জন্য আরও বেশি আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বাড়িঘরের আশপাশে এভাবে অজস্র বিস্ফোরণের কারণে ঘরের পাকা দেয়ালে ফাটল দেখা দিতে পারে। নলকূপেও সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। ভূমিকম্পে বড় ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।

চায়না ন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইমাম হোসেন বলেন, ‘পেট্রোবাংলার তত্ত্বাবধানে আমাদের জরিপ কাজ চলমান রয়েছে। কাজের জন্য বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়সহ বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে অনুমতিসাপেক্ষে জরিপ ও ড্রিলিং কাজ চলছে। মৌলভীবাজারের ২০টিসহ সারা দেশে ৪৯টি চা-বাগানে কাজ করারও অনুমতি রয়েছে।

তবে এসব কাজের জন্য ফসল কিংবা বাড়িঘর কোনো ধরনের ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁদের ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হবে।’ পতনউষার ইউপি চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, ‘গ্যাস কোম্পানির লোকজন আমাদের বলেছেন কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁরা ক্ষতিপূরণ প্রদান করবেন।’

এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিফাত উদ্দিন বলেন, সরকার থেকে অনুমতি নিয়ে তাঁরা সার্ভে শুরু করেছেন। তবে বসতবাড়ি থেকে কমপক্ষে তাঁরা ৮০ মিটার দূরত্বে বিস্ফোরণ ঘটানোর কথা বলেছেন। এতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাঁরা ক্ষতিপূরণ প্রদান করার কথা রয়েছে।

মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, পেট্রোবাংলা অনুমোদন নিয়ে গ্যাস সার্ভে শুরু করেছে। বিস্ফোরণ ঘটানোয় যদি কারও ক্ষতি হয় তাহলে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ