জৈন্তাপুর উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের কামরাঙ্গী গ্রামের সাবেক নারী ইউপি সদস্য খালেদা বেগম। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে নিজের দুই বিঘা জমিতে বরবটি ও শিম চাষ করেন। বর্তমানে তিনি একজন স্বাবলম্বী কৃষক।
গতকাল দুপুর ১২টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে খালেদার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তিনি উপজেলা সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ৬০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে সার, বীজ, রশি, বাঁশ ইত্যাদি কেনেন। তারপরে দুই বিঘা জমিতে বরবটি ও একই সঙ্গে শিম চাষ করেন। ইতিমধ্যে তিনি বরবটি বিক্রয় করে প্রায় দেড় লাখ টাকা পেয়েছেন।
খরচ বাদে তাঁর অনেক টাকা আয় হয়েছে। এ বছর ফলন ভালো না হওয়ায় আয় কিছুটা কম হয়েছে। বর্তমানে শিম গাছ ফুল হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতি না হলে শিম বেচে আরও লাখ টাকার ওপরে আয় হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
খালেদা বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে ক্ষুদ্র ঋণ না পেলে আমি ফসল ফলাতে পারতাম না। তারা আমাদের মতো প্রান্তিক কৃষকদের জন্য ঋণ চালু করায় আমি পর্যন্ত এসেছি। আমি সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
সমাজসেবা অধিদপ্তরের কর্মকর্তা এ কে এম আজাদ ভূঁইয়া বলেন, ‘সমাজসেবা অধিদপ্তর সমাজের প্রান্তিক কৃষকদের গ্রাম ভিত্তিক দল গঠন করে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দিচ্ছে। সে ক্ষেত্রে যারা অর্থাভাবে কৃষি খামার করতে পারছে না তাঁদের ঋণ সহায়তা দিয়ে স্বাবলম্বী করার উদ্যোগ নিয়েছে। খালেদা আমাদের ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমি সরেজমিনে না আসলে খালেদার সাফল্য দেখতে পারতাম না। যারা সফল উদ্যোক্তা হতে আগ্রহী তাঁদের ঋণ সুবিধা দিয়ে সহায়তা করা হবে।’