রাজশাহীর স্থানীয় একদল তরুণ মিলে নির্মাণ করেছিলেন ‘শাটিকাপ’ নামের একটি সিরিজ। পরবর্তী সময়ে তাঁরা নির্মাণ করেন ‘সিনপাট’ নামের আরেকটি সিরিজ। সিরিজ দুটি পরিচালনা করেছেন মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। দুটি সিরিজই প্রশংসিত হয়। গত ৫ আগস্টের পর দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে মানুষের সেবায় ‘সেভ রাজশাহী’ প্ল্যাটফর্মের আওতায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণসহ নানা ধরনের সেবামূলক কাজ করেছেন এই তরুণেরা। কাজ করতে গিয়ে নানা ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন। নির্মাতা হিসেবে সেই ঘটনাগুলো দাগ কাটে তাঁদের মনে। সেই ঘটনাগুলো এবার পর্দায় নিয়ে আসছেন তাঁরা। ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মাণ করেছেন ‘ওই মামা না প্লিজ’ নামের একটি শর্টফিল্ম সিরিজ। তিনটি শর্টফিল্ম নিয়ে তৈরি হয়েছে সিরিজটি।
ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশন থেকে জানানো হয়েছে, গত ৫ আগস্টের পরবর্তী ঘটনাবহুল সময় একই সঙ্গে ছিল দুর্ঘটনাবহুলও। সেই সময়ে কিছু ঘটনা বা দুর্ঘটনা নিয়ে বানানো হয়েছে তিনটি শর্টফিল্ম। শর্টফিল্মের এই সিরিজটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওই মামা না প্লিজ’। শর্টফিল্মগুলো হলো ‘তার ছিঁড়ে গেছে’, ‘সেফটি ফার্স্ট’ ও ‘আবেদন মহাজন’।
গতকাল ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ফেসবুক পেজে প্রকাশ পেয়েছে ‘তার ছিঁড়ে গেছে’ শর্টফিল্মটি। এটি বানিয়েছেন ওমর মাসুম। শর্টফিল্মটি নিয়ে ওমর মাসুম বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর সারা দেশে বিভিন্ন স্থাপনা থেকে যে যেভাবে পেরেছে নানা জিনিসপত্র নিয়ে যাচ্ছিল। কোনটা যে কার, আর কে নিয়ে যাচ্ছে, সেটাই বোঝা যাচ্ছিল না। সে সময় আমরা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করছিলাম। একদম কাছ থেকে এমন অনেক ঘটনা দেখেছি। সেই অস্থির সময়টাকে স্থির করার প্রয়াস থেকেই আমাদের এই প্রজেক্ট। সেই সময়ের একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নিয়েই তার ছিঁড়ে গেছে। যেখানে সেই ঘটনাটি দেখেছিলাম সেখানেই শুটিং করেছি। পর্দায় রিয়েল ফিলটা দেওয়ার চেষ্টা থেকেই একই জায়গায় শুটিং করেছি। এখানে ফুটপ্রিন্ট ফিল্মের সবার কনট্রিবিউশন আছে। তার ছিঁড়ে গেছে শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন রিফাত বিন মানিক। আমি নিজেও একটি চরিত্রে আছি।’
আগামী ৪ অক্টোবর প্রকাশ পাবে সিরিজের দ্বিতীয় শর্টফিল্ম ‘সেফটি ফার্স্ট’। শর্টফিল্মটির নির্মাতা অমিত রুদ্র বলেন, ‘সেভ রাজশাহী নামের প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন এলাকায় পাহারা দেওয়ার সময় অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা আমাদের চোখে পড়ে। সেই সব ঘটনা আর অসংগতিগুলো মজার ছলে পর্দায় দেখানোর চেষ্টা করেছি। একটি সরকারি অফিস থেকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র চুরির ঘটনা নিয়ে তৈরি হয়েছে সেফটি ফার্স্ট। আমরা যখন পাহারা দেওয়ার কাজ করছিলাম, তখনই এই সিনেমার শুটিং করেছি।’