হোম > ছাপা সংস্করণ

শেখ আজিজুর রহমান

শওকত ওসমান

প্রাণপ্রাচুর্যে ভরা ছিলেন শওকত ওসমান। বাঙালি মুসলমানকে আধুনিক করে তুলেছিলেন যাঁরা, তিনি ছিলেন তাঁদের একজন। পড়াতেন ঢাকা কলেজে। বেশির ভাগ শিক্ষকই ছাত্রদের বাতলে দিতেন পরীক্ষায় ভালো করার পথ। শওকত ওসমান ক্লাসে নিয়ে আসতেন পুরো বিশ্বকে। আলোচনায় তিনি শুধু পরীক্ষা পাসের বিষয়কে রাখতেন না। নবীন শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছ থেকে পেত সভ্যতার কথা, সমাজ বিকাশের কথা, শিল্পকলার কথা।

বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকে ভদ্রলোকেরা পরত সাদা বা আকাশি রঙের শার্ট। এই পোশাক ছিল ভদ্রতায় মোড়া। ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরাও পরতেন সেই পোশাক। শওকত ওসমান ক্লাসে এসে বলতেন, ‘স্যার, আপনারা সাদা শার্ট পরবেন না। ওই কাফন পরবেন না। রঙিন জামাকাপড় পরবেন। দেখুন না আমার জামাকাপড়, এ বয়সেও আমি কেমন রঙিন জামা পরি।’

সে সময় তাঁর লেখা ‘ক্রীতদাসের হাসি’ পেল আদমজী পুরস্কার। সেখানে ছিল এক অসাধারণ সংলাপ। তাতারী বলছে, ‘শোনো হারুনর রশীদ! দিরহাম দৌলত দিয়ে ক্রীতদাস গোলাম কেনা চলে। বান্দী কেনা সম্ভব! কিন্তু কিন্তু ক্রীতদাসের হাসি—না-না-না-না।’ এ সংলাপটি কত বাঙালির মনকে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে ফেলার সাহস জুগিয়েছে!

কলেজে যখন তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হলো, তখন কলেজের অধ্যক্ষ একটি তথ্য ফাঁস করে দিলেন, যা সে সময়ের ছাত্রদের একেবারেই জানা ছিল না। তিনি বললেন, ‘শওকত ওসমান নামের কোনো শিক্ষক আমার কলেজে নেই।’

অবাক হলেন ছাত্ররা। তার মানে কি, এত দিন শওকত ওসমান বলে যে ভদ্রলোক ঢাকা কলেজে পড়াতেন, তিনি মানুষ না? তিনি অশরীরী আত্মা? তাহলে অধ্যক্ষের পাশে ওই যে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তিনি কে?

অধ্যক্ষ মহাশয় ছাত্রদের সংশয় দূর করেন তখনই। ‘আমার কলেজে যিনি আছেন, তাঁর নাম শেখ আজিজুর রহমান!’

শওকত ওসমান যে তাঁর ছদ্মনাম, সেটা ছাত্ররা জানতে পারলেন সেদিনই।

সূত্র: হুমায়ুন আজাদ, সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ৫৫-৫৭

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ