একদিন জেন্যাকে তার মা রুটি কিনতে দোকানে পাঠিয়েছে। রুটি কিনে অবাক হয়ে শহরে নানা রকম জিনিস দেখতে থাকে সে। এদিকে দুষ্ট এক কুকুর পেছন থেকে এসে হাতের রুটি সব খেয়ে নেয়। কুকুরের পেছনে ধাওয়া করতে গিয়ে হারিয়ে গেল জেন্যা। হঠাৎ সে চেয়ে দেখে, অচেনা কুঁড়েঘর ছাড়া কিছু নেই চারদিকে। তখন কান্না ছাড়া আর উপায় কী তার?
জেন্যা হঠাৎ দেখে তার সামনে এক বুড়ি। বুড়ি তাকে সাত রঙের সাত পাপড়িওয়ালা একটি জাদুর ফুল উপহার দিল। একটি করে পাপড়ি ছিঁড়ে মাটিতে ফেললে যা চাইবে তাই পাবে জেন্যা।
জেন্যার প্রথম পাপড়িটি গেল রুটিসহ বাড়ি ফেরা চাইতে। দ্বিতীয়টি মায়ের শখের ফুলদানি যে ভেঙেছিল, সেটা জোড়া লাগানো চাইতে। তৃতীয় ও চতুর্থটি ছেলেদের দলের সঙ্গে মিশতে গিয়ে ঝামেলা মেটাতে। পঞ্চম ও ষষ্ঠটি মেয়েদের দলের সঙ্গে হিংসা-শত্রুতা মেটাতে। বাকি রইল সপ্তম বা সাত নম্বর ফুল। সেটা দিয়ে কী করবে সে? এটা তো আর শেষ করে ফেলতে মন চায় না। যখন সময় এল, কোনো দ্বিধা না করে আনন্দের সঙ্গে সে তা খরচ করে দিল। সেটা হলো, একটি ছেলে যাকে জেন্যার ভালো লেগেছে, যার সঙ্গে তার খেলার ইচ্ছা কিন্তু তার যে পা ঠিক নেই! সে পঙ্গু, তাই সে খেলতে পারবে না। শেষ পাপড়িটা সে খরচ করল সেই ছেলেটির পা ভালো করে দেওয়ার জন্য।
বই: সাতরঙা ফুল
লেখক: ভালেন্তিন কাতায়েভ
দাম: ৫৮ টাকা