টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দারুণ জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। আর এই জয়ের নায়ক ইবাদত হোসেন চৌধুরী এখন সবার প্রশংসায় ভাসছেন। ইবাদতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তাঁর নিজ গ্রাম মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার কাঠালতলীতে বইছে খুশির বন্যা। গত বুধবার রাতে কাঠালতলী বাজারে আনন্দ মিছিল, মিষ্টি বিতরণ ও কেক কেটে আনন্দ-উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। এর আয়োজন করে সামাজিক সংগঠন কেএসকেপি।
কাঠালতলী ক্রিকেট ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও সোনার বাংলা ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি নাজিম উদ্দিন জানান, ইবাদতের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে আজ বাংলাদেশ অবিস্মরণীয় জয় পেয়েছে। তিনি এ দেশের, এলাকার মুখ উজ্জ্বল করেছে। তাঁকে নিয়ে এলাকাবাসী গর্বিত, আনন্দিত।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ইবাদত হোসেন চৌধুরীর বাবা নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বর্ডার গার্ডে (বিজিবি) চাকরি করতেন। আর মা সামিয়া বেগম চৌধুরী গৃহিণী। ছয় ভাই-বোনের মধ্যে ইবাদত হোসেন চৌধুরী দ্বিতীয়। ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি তাঁর আলাদা টান ছিল। স্থানীয় বিভিন্ন ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছেন ইবাদত। ভালো বোলিং করতেন বলে এলাকার বাইরেও তার নামডাক ছড়িয়ে পড়ে। এসএসসি পাশ করে ২০০৮ সালে সৈনিক পদে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে যোগ দেন। সেখানেই চাকরির পাশাপাশি বিমানবাহিনীর নিয়মিত ভলিবল খেলতে শুরু করেন। কিন্তু ক্রিকেটের প্রতি তার টান মোটেও কমেনি। ২০১৬ সালে রবি পেসার হান্টের শেষ রাউন্ডে ১৩৯ দশমিক ৯ কিলোমিটার গতিতে বল করে সবাইকে চমকে দেন ইবাদত। নজরে আসেন সবার। এরপর থেকে ইবাদতকে আর পেছনে থাকাতে হয়নি। ২০১৯ সালের মার্চে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইবাদতের অভিষেক হয়। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেই তাঁর টেস্টে অভিষেক হয়।
এ সময় সামাজিক সংগঠন কেএসকেপির উপদেষ্টা আবুল হাসান, খালেদ আহমেদ, জাগরণ সমাজকল্যাণ যুব সংঘের সভাপতি শাহরিয়ার জামান খালেদ, কেএসকেপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দেলওয়ার হোসেন চৌধুরী ইমন, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহাবুদ্দিন লিটন ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল সাজু প্রমুখ