চাঁদপুরের কচুয়ায় দিন দিন বেড়েই চলেছে কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত। উপজেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার কিশোরদের রয়েছে বিভিন্ন গ্রুপ। প্রতিনিয়ত তাদের ইভ টিজিংয়ের শিকার হচ্ছে ছাত্রীরা। এতে অনেক ছাত্রী পড়াশোনা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, ইভ টিজিং ছাড়াও ধর্ষণ, চুরি, ছিনতাই, হত্যাকাণ্ড, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে উঠতি বয়সী কিশোররা।
সম্প্রতি সম্পর্কের বিষয়কে কেন্দ্র করে কচুয়া উপজেলার রহিমানগর বিএবি উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুন্নার ওপর হামলা করে মেহেদী হাসান নামের এক কিশোর। গতকাল বুধবার রহিমানগর বাজারের সুরমা বাস কাউন্টার-সংলগ্ন এলাকায় একটি চায়ের দোকানে মুন্না মেহেদী হাসানকে দেখে। আগের ঘটনার জেরে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ায় তারা। একপর্যায়ে মুন্না মেহেদীকে ছুরিকাঘাত করে। এতে গুরুতর আহত হয় মেহেদী।
পরে স্থানীয় লোকজন মেহেদীকে বেসিক এইড হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। বর্তমানে মেহেদী সেখানে চিকিৎসাধীন।
এদিকে এই ঘটনার জন্য স্থানীয় লোকজন মুন্নাকে আটক করে তার বাবাকে ঘটনাস্থলে ডাকেন। তারা বাবা সেখানে এলে লোকজনের রোষানলে পড়েন। পরে কচুয়া থানা-পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্না ও তার বাবা নুরুল আমিনকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মুন্না ও তার বাবা নুরুল আমিনকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে করে থানায় নিয়ে এসেছি। ছুরিটি জব্দ করা হয়েছে। আহত মেহেদীর পক্ষ থেকে মামলা করা হলে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, মুন্না উপজেলার নাউলা গ্রামের এবং মেহেদী হাসান খাজুরিয়া-লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা।