হোম > ছাপা সংস্করণ

এক উড়নচণ্ডী অস্ট্রেলীয় এখন গলফের মহাতারকা

আপনি একটি ছেলেকে ব্রিসবেনের বাইরে নিতে পারবেন, কিন্তু ব্রিসবেনকে কখনো তাঁর বাইরে নিতে পারবেন না—গলফের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ মেজর ব্রিটিশ ওপেন বা দ্য ওপেনের নতুন বিজয়ী ক্যামেরুন স্মিথকে নিয়ে করা সংবাদের শুরুটা এভাবেই করেছে ব্রিটিশ পত্রিকা ডেইলি মেইলের অনলাইন সংস্করণ। মূলত চারিত্রিক ও আচরণের উড়নচণ্ডী (বোগান) বৈশিষ্ট্যের কারণে এই কথাটি বলা হয়েছে। যেটা তাঁকে আগের চ্যাম্পিয়নদের থেকেও আলাদা করেছে।

স্মিথের ক্যাডি (গলফারের সহকারী) স্যাম পিনফোল্ড বলছেন, প্রতিপক্ষকে আটকাতে তিনি স্টেট ইন অরিজিনে কুইন্সল্যান্ড মেরুনের বিখ্যাত লড়াইয়ের সংস্কৃতিও অনুসরণ করেছেন। গলফের মাঠে যেটা খানিকটা বেমানানই বটে। পিনফোল্ড বলেছেন, ‘এটা তাঁর মধ্যে থাকা কুইন্সল্যান্ডবাসীদের বৈশিষ্ট্য। আমার ধারণা, সে সেখান থেকে অনেক কিছু নিয়েছে। সে কখনো সেভাবে ফেবারিট কিংবা খুব শক্তিশালী নয়। তবে সে লড়তে পছন্দ করে। পিছিয়ে থাকলেও সে লড়াই করে লক্ষ্যে এগিয়ে যাবে।’ হোম অব গলফে প্রথম মেজর জেতার আগে থেকেই অবশ্য নিজের এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত ছিলেন স্মিথ।

স্মিথের ইনস্টাগ্রাম আইডিতে গেলে অবশ্য তাঁর উড়নচণ্ডীপনার কিছু ধারণা পাওয়া যাবে। মাছ ধরার ছবির পাশাপাশি বিয়ারের বোতল এবং ম্যাকডোনাল্ডের খাবারের ছবিও দেখতে পাওয়া যাবে সেখানে। স্মিথ যে একজন প্রকৃত বোগান, সেটা বোঝা যাবে আরেকটি তথ্যে। অর্থ ও খ্যাতি জোটার পর প্রথম যে জিনিসটি স্মিথ কিনেছিলেন সেটা হলো, ৩৯ ফুট দৈর্ঘ্যের মাছ ধরার নৌকা। যেটা কি না প্রত্যেক বোগানের স্বপ্নও বটে। এই নৌকাটি এখন তাঁর ফ্লোরিডার বাড়ির বাইরে একটি খালে রাখা আছে, যেন যখন ইচ্ছা হয় তখনই মাছ ধরতে চলে যেতে পারেন।

এই স্মিথকে নিয়েই আবার দ্য গার্ডিয়ানে ম্যাট ক্ল্যারি লিখেছেন, ‘সে আমাদের নিজেদের কথা মনে করিয়ে দেয়। সে এমন একজন সাধারণ মানুষ, যে গলফ অবিশ্বাস্যভাবে ভালো খেলে।’

স্মিথের বাবা ডেসও একজন পেশাদার গলফার ছিলেন। ছেলের সাফল্যের কথা শুনে চোখ কপালে তুলে বলেন, ‘আজ অনেক বিয়ারের জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।’ স্মিথ ছোটবেলা থেকেই বাবাকে অনুসরণ করে আসছেন। গলফের প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে তিনি ছেলেকে নিজের সঙ্গে নিয়ে খেলতে যেতেন। ছেলের সাফল্য দেখে স্মিথ সিনিয়র বলেন, ‘কোনো কিছু এখন আমাকে আর বিস্মিত করে না। সে বেশ প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড় এবং এটুকু আসতে সে অনেক পরিশ্রম করেছে।’

খুব বেশি অর্থবিত্তের মাঝে বড় হননি স্মিথ। তবে জীবনের সহজ ও সাধারণ বিষয়গুলোর প্রতি ভালোবাসার কমতি ছিল না তার। এ বছরের শুরুতে প্লেয়ারস চ্যাম্পিয়নশিপ জেতার পর পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ২৫ মিলিয়ন ডলারের চেক। এত টাকা তাঁর পুরো পরিবার নাকি সারা জীবনে একসঙ্গে দেখেনি। আর এবার দ্য ওপেন জিতে সেই অর্থ ভান্ডারে যুক্ত করলেন আরও ৩ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। দ্য ওপেন জেতার পর স্মিথ বলেছেন, ‘দ্য ওপেনের ১৫০তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হতে পারাটা স্বপ্নের মতো।’ তবে খ্যাতি, অর্থ ও স্বপ্নের পথে যাত্রাটা মাত্রই শুরু করলেন ২৮ বছর বয়সী এই গলফার। এরপর নিশ্চিতভাবেই নামের সঙ্গে যুক্ত হতে অপেক্ষা করছে আরও অনেক কিছু।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ