সারা দেশের মতো তাপমাত্রা কমছে নীলফামারীতেও। গত এক সপ্তাহ এখানে ১৫ থেকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে তাপমাত্রা ওঠানামা করছে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে চারদিক।
গতকাল রোববার ঘন কুয়াশার কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে তিনটি ফ্লাইট অবতরণ করতে পারেনি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুয়াশা কেটে যাওয়ার পর বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়। জেলার ডিমলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, রোববার সকাল ৮টা পর্যন্ত বিমানবন্দর এলাকায় দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৫০ মিটার। সকাল সাড়ে ১০টায় তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ৫০০ মিটার। সাধারণত ১ হাজার ৮০০ মিটার দৃষ্টিসীমা থাকলে রানওয়েতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। দৃষ্টিসীমা কম থাকায় সকাল থেকে বাংলাদেশ বিমান, ইউএস-বাংলা ও নভোএয়ারের মোট তিনটি ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করেনি। ফলে ফিরতি ফ্লাইটের ঢাকাগামী দুই শতাধিক যাত্রী সৈয়দপুর বিমানবন্দরে প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা আটকা পড়েন। বেলা সাড়ে ১১টার পর ঘন কুয়াশা কেটে যাওয়ায় বিমান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম ব্যাহত হয়েছে। শীতকালে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন ঘটে থাকে। এ কারণে শীতকালে আলাদা শিডিউল মাফিক বিমান চলাচল করে।
এদিকে ঘন কুয়াশায় শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশায় ছিন্নমূল ও তিস্তা নদীর তীরবর্তী চরাঞ্চলের মানুষের কষ্ট বেড়েছে।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা মেলেনি।