দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে আজ থেকে আগামী ৯ দিন ৩২টি জেলা সদরে সমাবেশ করবে দলটি। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আজ বুধবার প্রথম দিন টাঙ্গাইল, যশোর, দিনাজপুর, বগুড়া, হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সমাবেশ হবে।
লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত খালেদা জিয়া গত ১৩ নভেম্বর থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন। সেখানে এরই মধ্যে কয়েক দফায় রক্তক্ষরণ হয়েছে তাঁর। অবস্থা গুরুতর জানিয়ে বিলম্ব না করে বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। এ বিষয়ে অনুমোদনের জন্য পরিবারের আবেদনে সাড়া দেয়নি সরকার। ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে আবেদন করে তাঁর পরিবার। ওই আবেদনের বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় শিগগির মতামত জানাবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল হক।
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার বিষয়ে গতকাল রাজধানীতে মানবাধিকার কমিশনের এক অনুষ্ঠান শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্ত আসামির বিদেশে চিকিৎসার নজির নাই।
আইন মন্ত্রণালয় শিগগির তাঁর (খালেদা জিয়া) বিষয়ে মতামত জানাবে।’
এদিকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক অবস্থার কথা তুলে ধরেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া বর্তমানে গুরুতর অবস্থায় এক চরম সংকটময় মুহূর্ত পার করছেন। যতই দিন যাচ্ছে, তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটছে। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বারবার বিদেশে পাঠানোর দাবি করা সত্ত্বেও সরকার রহস্যজনকভাবে নীরব থাকছে।’
খালেদা জিয়ার মুমূর্ষু অবস্থাকে কোনোভাবেই বিবেচনায় না নিয়ে সরকার তাঁকে পৃথিবী থেকে বিদায় করার জন্যই তাঁর চিকিৎসা নিয়ে নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে করা রিট শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়েছে। বুধবার বিচারপতি মামনুন রহমান ও খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ। গত সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট দায়ের হয়। এরপর মঙ্গলবার আদালতে আবেদনটি উপস্থাপন করলে শুনানির জন্য গ্রহণ করা হয়।