হোম > ছাপা সংস্করণ

কিশোর গ্যাং রুখতে মাঠে পুলিশ, চলছে মহড়া

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জে সম্প্রতি গ্যাং কালচার বেড়েছে। বিশেষ করে অপ্রাপ্তবয়স্করা একের পর এক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের হত্যা, মারামারি, ছিনতাইসহ নানান ঘটনায় অতিষ্ঠ নগরের বাসিন্দারা। 

ঘটনার সংবাদ প্রকাশ করলে হামলার শিকার হতে হয় গণমাধ্যমকর্মীদেরও। এমন পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহর ও শহরতলিতে ‘রোবাস্ট পেট্রোলিং টিম’ শুরু করেছে পুলিশ।

চলতি মাসজুড়ে টানা বেশ কয়েকটি আলোচিত অপরাধ সংঘঠিত হয় নারায়ণগঞ্জে। আলোচনায় আসার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ প্রশাসন ধারাবাহিকভাবে ফতুল্লা, সদর এবং বন্দর থানায় কিশোর গ্যাং-বিরোধী মহড়া চালিয়েছে। সন্ধ্যার পরে অযথা ঘোরাঘুরি এবং মোড়ে মোড়ে আড্ডাবাজি রোধে এ মহড়া চালান পুলিশ কর্মকর্তারা। বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, ২৩ মে ফতুল্লা থানাধীন এলাকায় গাড়ির বহর নিয়ে সাইরেন বাজিয়ে প্রথম গ্যাং-বিরোধী মহড়া দেয় পুলিশ। এদিন সন্ধ্যা থেকে ফতুল্লার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় মাইকিং, মহড়া ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হয়। পুলিশের টহল টিম মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যানে টহল দেয়। এ সময় ফতুল্লার মাসদাইর পতেঙ্গা মোড়, ইসদাইর বুড়ির দোকান, ইসদাইর নতুন রাস্তা, শিয়াচর তক্কার মাঠ, পিলকুনি ব্যাংক কলোনি, ফতুল্লা রেলস্টেশন, কেতাবনগরসহ বিভিন্ন এলাকায় মহড়া দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিজাউল হক বলেন, ‘প্রয়োজন ছাড়া সন্ধ্যার পর বাইরে ঘোরাঘুরি ও রাতের অন্ধকারে মোড়ে মোড়ে অহেতুক আড্ডা দেওয়া যাবে না। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, সন্তান ও স্থানীয় কিশোরদের প্রতি বাড়তি নজর রাখুন।’

এদিকে ২৪ মে দুপুরে বখাটেপনা কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে চার কিশোরকে আটক করে পুলিশ। এ সময় কিশোরদের উদ্ভট চুলের কাটিং দেখে অভিভাবকদের খবর দেওয়া হয়। অভিভাবকেরা নিজ জিম্মায় ছেলেদের চুল কেটে এনে মুচলেকা দিয়ে তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

পরের দিন বিকেলে বন্দর থানার ছয়টি ওয়ার্ডে মহড়া দেয় পুলিশ। মোটরসাইকেল ও দুটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে বন্দরের মদনগঞ্জ মোড়, দড়িসোনাকান্দা, রুপালি আবাসিক এলাকা, সিরাজদৌল্লাহ ক্লাব সড়ক, খান বাড়ির মোড়, কবিলের মোড়, নবীগঞ্জ উত্তরপাড়া, এলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায় চলে এ মহড়া।

মহড়া শেষে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সময় উঠতি বয়সের বখাটেরা উত্ত্যক্ত করলে সরাসরি পুলিশের সহায়তা নেবেন। তথ্যদাতার নাম গোপন রেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

একই রাতে সদর থানা-পুলিশ নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাং রোধে মহড়া শুরু করেছে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ শহরের টানবাজার, বাপ্পী চত্বর, শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়সহ
বিভিন্ন স্থানে মহড়া দেয় ‘রোবাস্ট পেট্রোলিং’ টিম।

পুলিশের বাড়তি তৎপরতার বিষয়ে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, ‘কম বয়সী বা প্রাপ্তবয়স্ক, অপরাধ যেই করুক, সে অপরাধী। তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। যারা কিশোর গ্যাং বা গ্যাং কালচারের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপরাধ করছে, তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে পুলিশ।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ