হোম > ছাপা সংস্করণ

খ্রিষ্টানপল্লিতে উৎসবের আমেজ

শাহীন রহমান, পাবনা 

পাবনায় ‘বড়দিন’ উদ্‌যাপনকে সামনে রেখে খ্রিষ্টানপল্লিতে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে উপাসনালয়গুলো। বাড়ি আলোকসজ্জা, গোশালা তৈরি, ক্রিসমাস ট্রি সাজানোসহ নানা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার ৩০টি গ্রামের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ।

বেথলেহেমের এক গোশালায় মাতা মেরির গর্ভে জন্ম নিয়েছিলেন খ্রিষ্ট ধর্মের প্রবর্তক যিশুখ্রিষ্ট। সেই থেকে প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর সারা বিশ্বের খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীরা মহাসমারোহে পালন করেন যিশুখ্রিষ্টের জন্মদিন শুভ বড়দিন। যিনি মানুষকে মুক্তি ও কল্যাণের পথ দেখিয়েছিলেন। সেই যিশুখ্রিষ্টের জন্মতিথি ‘শুভ বড়দিন’ উদ্‌যাপনে পাবনার খ্রিষ্টানপল্লিতে এখন উৎসবের আমেজ। গির্জাগুলো সাজানো হচ্ছে নানা রং-বেরংয়ের সাজে।

স্বজনদের সঙ্গে বড়দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ইতিমধ্যে বাড়িতে আসা শুরু করেছেন অনেকে। বড়দিন ঘিরে অতিথি আপ্যায়নে বাড়ির গৃহিণীদেরও ব্যস্ততা কম নয়। বাড়িঘর আলোকসজ্জা আর পিঠাপুলির আয়োজন নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। করোনার কারণে গত দুই বছর বড়দিন উৎসবের রঙে ভাটা পড়লেও, এবার তাঁদের প্রত্যাশা সবার সহযোগিতায় উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপন করবেন বড়দিনের উৎসব।

দক্ষিণ রাঘবপুর এলাকার বাসিন্দা সিজার ডি কস্তা ও গৃহিণী রীনা বর্মণ বলেন, বড়দিনের আনন্দ ভাগ করে নিতে বিভিন্ন স্থান থেকে তাঁদের আত্মীয়স্বজনরা বাড়িতে এসেছেন। তাঁরা ঘর সাজিয়েছেন, ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়েছেন, গোশালা তৈরি করেছেন।

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সাধারণ সম্পাদক উত্তম দাস বলেন, বড়দিনকে ঘিরে পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চ সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। এসব আয়োজনের মধ্যে রয়েছে নগর কীর্তন, বড়দিনের উপাসনা, কেক কাটা, পিঠাপর্ব, প্রীতিভোজ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তাঁর আশা প্রশাসনসহ সবার সহযোগিতায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে এবারের বড়দিনের উৎসব উদ্‌যাপন করতে পারবেন। বড়দিনের বিশেষ উপাসনা অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।

পাবনা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের পালক মি. ইসহাক সরকার ও চাটমোহরের মথুরাপুর ধর্মপল্লির পাল পুরোহিত ফাদার শিশির নাতালে গ্রেগরি বলেন, যিশুখ্রিষ্টের বাণী জগতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠা হোক। সবার মধ্যে ভ্রাতৃত্ব বজায় থাকুক। যিশু জগতে আসেন মানুষকে মুক্তি দিতে। মানুষের মধ্যে শান্তি দিতে। তিনি পাপ থেকে পরিত্রাণ দিতে পৃথিবীতে এসেছিলেন। তাই এদিনটিকে তাঁরা বড়দিন হিসেবে উদ্‌যাপন করেন।

পাবনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান বিপিএম বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে বড়দিন উদ্‌যাপন করতে পারে, সে জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সব চার্চে পর্যাপ্ত পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। চেকপোস্ট থাকবে, পাশাপাশি মোবাইল টিম থাকবে। ইতিমধ্যে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করছে।

জেলা পুলিশের তথ্যমতে, পাবনায় এবার ২৩টি গির্জায় বড়দিনের প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বড়দিনের উৎসব ছুঁয়ে যাক প্রাণ, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ