নাটোরের বড়াইগ্রামে সরকার নির্ধারিত ভাড়ায় চলছে না উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। নির্ধারিত ভাড়ার কয়েকগুণ বেশি টাকা রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়টি প্রকাশ্যে হলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তা দেখছেন না।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সের ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সেই হিসেবে নাটোর সদর হাসপাতালের ৩০ কিলোমিটারের যাওয়া-আসায় ভাড়া ৬০০ টাকা এবং রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭০ কিলোমিটারের যাওয়া-আসার ভাড়া ১৪০০ টাকা। কিন্তু নাটোরে গেলে ১ হাজার ৪০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা এবং রাজশাহী গেলে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার উপজেলার তালশো গ্রামের এক রোগীকে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন চালক। পরে ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে রক্ষা পান তিনি।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে রোগীর এক স্বজন বলেন, তাঁর রোগীকে নাটোর সদর হাসপাতালে পৌঁছে দেন চালক সওদাগর। আবার সদর হাসপাতাল থেকে আরেক রোগী নিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নামিয়ে দিয়ে পুঠিয়ায় বিয়ের দাওয়াত খান তিনি। পরে সন্ধ্যায় সদর হাসপাতালে এসে ১ হাজার ৫০০ টাকা চান তিনি। দর-কষাকষিতে ১ হাজার ৪০০ টাকা নিতে রাজি হলে তা দিয়ে দেন তিনি।
গোপালপুর গ্রামের আমজাদ হোসেন বলেন, কিছুদিন আগে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে আমার শ্যালকের স্ত্রীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সের চালক সওদাগর হোসেন ২ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়া নিয়েছিলেন।
অ্যাম্বুলেন্সচালক সওদাগর হোসেন বলেন, গাড়ির তেলের সঙ্গে আরও অনেক খরচ হয়। তবু কোনো রোগীকেই চাপ দিয়ে ভাড়া নেওয়া হয় না। তাঁরা খুশিমতো যা ভাড়া দেন তা নেওয়া হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আশাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। তবু নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত নিলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।