দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ভুট্টাচাষিদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ধূসর বাদামি বর্ণের ‘লেদা পোকা’। বাজারের কীটনাশক ব্যবহার করেও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এ পোকা। উপজেলার বিনোদনগর ও কুচদহ ইউনিয়নের ভুট্টাচাষিদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।
বিনোদনগর ইউপির কৃষ্ট জীবন গ্রামের ভুট্টাচাষি দুলাল মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০ শতাংশ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি, বীজ বুনে সার ও পানি দিয়ে দ্রুতই বেড়ে উঠেছিল গাছ। কিন্তু দেড় মাস বয়সে বাদামি রঙের লম্বা পোকা গাছের নতুন পাতা কেটে ফেলছে। বাজার থেকে ৮০০ টাকার কীটনাশক কিনে ছিটিয়ে দেওয়ার পরও পোকা দমন না হওয়ার দুশ্চিন্তায় আছি।’
একই অভিযোগ করে কুশদহ ইউনিয়নের রহিমাপূর গ্রামের কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, ‘বাজারে নিম্নমানের কীটনাশক দেদার বিক্রি হওয়ায় ভুট্টার কাটুই পোকা দমন করা কঠিন হয়ে পড়ছে। ৪০ শতক জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। তিন দফা কীটনাশক ছিটিয়ে পোকা দমন করতে হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষি অফিসের কেউ খোঁজ নেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, উপজেলায় এবার ৫ হাজার ৩৭০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ করা হয়েছে। ভুট্টাগাছে লেদা পোকা বা কাটুই পোকা আক্রমণের খবর জানা নেই। তবে কারও খেতে যদি এ পোকা আক্রমণ করে, তবে প্রতিকার হিসেবে সাকসেস, সিয়েনা, বেল্ট এক্সপার্ট-জাতীয় কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তা ছাড়া চাষিরা জমি ভরে সেচ ও হাত দিয়ে পোকা মেরে ফেলার পদ্ধতিও অনুসরণ করতে পারেন।