গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল এক স্কুলছাত্রী (১৫)। ওই স্কুলছাত্রী উপজেলার বান্ধাবাড়ি ইউনিয়নের বাসিন্দা ও দশম শ্রেণির ছাত্রী। গত শনিবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল রোববার উপজেলার লাকিরপাড়া গ্রামের ইমরান কাজীর সঙ্গে ওই স্কুলছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী ওই স্কুলছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিয়ের সব আয়োজন সম্পন্ন করা হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ গত শনিবার বিকেলে ওই বাড়ি যান। পরে বাল্যবিবাহ আয়োজন করার অপরাধে ওই স্কুলছাত্রীর বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা ও মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, বাল্যবিবাহের খবর পেয়ে হাসুয়া গ্রামে গিয়ে এর সত্যতা পান। এই অপরাধে কনের বাবাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইসঙ্গে মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার শর্তে তাঁর কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়া হয়।