দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন ইউক্রেনীয়রা। প্রতিদিন কয়েকবার ভিডিও বার্তায় দেশবাসীকে উজ্জীবিত করছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। কিন্তু বিশাল রুশ সামরিক বাহিনীর সামনে কত দিন দাঁড়িয়ে থাকা যাবে, তা অনেকটাই তর্কসাপেক্ষ। যুদ্ধের গতি যেদিকেই যাক না কেন, ইউক্রেন সংকট কোনদিকে যাবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিয়েভ যদি রুশ বাহিনীর হাতে চলে যায়, জেলেনস্কি নিহত হবেন নতুবা রাশিয়ায় বন্দী জীবন কাটাতে হবে। যদি তিনি পালাতে পারেন তবে পশ্চিম ইউক্রেনে কিছুটা হলেও কর্তৃত্ব বজায় রাখতে পারবেন। জন হার্বস্ট সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধ অব্যাহত থাকলে জেলেনস্কি একটি কাজ করতে পারেন। সেনাদের সঙ্গে নিয়মিত ও গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে তিনি পশ্চিম ইউক্রেন থেকে সরকার চালাতে পারেন।
পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মিশেল ওরেনস্টাইন বলেন, জেলেনস্কি রাজধানী কিয়েভ ছেড়ে পালালে নিজের পছন্দমতো সরকার বসাবেন পুতিন। সেই সরকার অনেকটা লুহানস্কের মতো হবে। তিনি আরও বলেন, পুতিন যেভাবে চাইছেন ঠিক সেভাবেই ইউক্রেন চালাতে পারবেন বলে মনে হচ্ছে।
জেলেনস্কি ইউক্রেন থেকেই পালিয়ে গেলে তিনি হবেন নির্বাসিত নেতা। নির্বাসিত নেতা হিসেবেও সরকার পরিচালনা করার নজির ইতিহাসে রয়েছে। তবে এতে করে ইউক্রেনে সংকট নতুন মোড় নেবে বলে মনে করছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পল ডি’এনিয়েরি। কেননা, সে ক্ষেত্রে তারা বৈধ সরকার কি না, এ নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হবে।