মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের কাস্টমার কেয়ারের হেল্প লাইন নম্বর ক্লোন করে এজেন্টদের সঙ্গে প্রতারণা করছিল একটি চক্র। শ্যালক ও দুলাভাইয়ের এই চক্রটি প্রায় সাত বছর ধরে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বিশেষ একটি বিদেশি পেইড অ্যাপস ব্যবহার করে তারা এ প্রতারণা করছিল। চক্রের মূল হোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও মুন্সিগঞ্জ থেকে গত মঙ্গল ও গতকাল বুধবার তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। তাঁরা হলেন চক্রের হোতা দুলাভাই নুরুজ্জামান মাতুব্বর, শ্যালক সজিব মাতুব্বর ও সুমন শিকদার। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১৩টি মোবাইল ফোন, ২৪টি সিমকার্ড জব্দ করা হয়।
গতকাল কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোজাম্মেল হক জানান, প্রতারক চক্রটি মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্টদের টার্গেট করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। প্রতারকেরা বিভিন্ন অসাধু মোবাইল সিম বিক্রেতার সঙ্গে যোগসাজশে রিকশাচালক, ভ্যানচালক ও সহজসরল মানুষদের এনআইডি ব্যবহার করে সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন করে। এরপর নম্বর ক্লোন করে মোবাইল ব্যাংকিং হেড অফিসের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কৌশলে এজেন্টদের পিন কোড জেনে নিত। পরে তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা এলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা চক্রের সদস্যদের নম্বরে স্থানান্তর করত। এ গ্রুপের ২০-২৫ জন সদস্য রয়েছে। অন্য সদস্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।