শায়েস্তাগঞ্জে ময়লার স্তূপে উন্নত জাতের ঘাস চাষের প্রদর্শনী প্লট করেছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ এলাকায় চলছে সমালোচনা।
সরেজমিনে দেখা গেছে পরিত্যক্ত পশু হাসপাতালের আঙিনায় ময়লার স্তূপের ওপরে টাঙানো হয়েছে ‘উন্নত জাতের ঘাস চাষ প্রদর্শনী প্লট’ লেখা একটি সাইনবোর্ড। ১০ শতাংশ জমিতে ঘাস চাষের কথা বললেও হাত তিনেক জমিতে হাতে গোনা কয়েকটি ঘাস থাকলেও সম্পূর্ণ জমিতে ময়লা আবর্জনায় পরিপূর্ণ।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছর প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) এর আওতায় ১৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ড্রাইভার বাজারে পরিত্যক্ত পশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণে ১০ শতাংশ জমিতে ঘাস চাষ শুরু করে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যবসায়ী জানান, ‘আমরা শুধু সাইনবোর্ডটাই দেখছি ঘাসের কোনো অস্তিত্বই নাই এখানে। এই ময়লার স্তূপে ঘাস চাষ হওয়ার তো প্রশ্নই ওঠে না।’
সুজন শায়েস্তাগঞ্জ পৌর কমিটির সভাপতি আবদুর রকিব বলেন, ময়লার ভাগাড়ে ঘাস চাষ দেখে আমার কাছে মনে হয়েছে এটি সরকারি টাকা অপচয় করার একটি প্রক্রিয়া।’
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. রমাপদ দে বলেন, এখানে ময়লা আবর্জনায় এমন অবস্থা হয়েছে যে এখানে শ্রমিকেরা কাজ করতে চায় না। অনেক কষ্ট করে কয়েকজন লোক দিয়ে খানিকটা পরিষ্কার করে আমরা এটা শুরু করছি। যে জায়গাতে লেবার নামে না এই জমিতে ঘাস চাষের উদ্যোগ কেন নিলেন? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।