ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন ১৪ সেপ্টেম্বর। দীর্ঘ ১৬ বছর পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় উৎফুল্ল নেতা-কর্মীরা। তাঁরা পদ পেতে ইতিমধ্যে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন।
সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল। এর আগে তিনি এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন।
জানা গেছে, সর্বশেষ ২০০৩ সালে গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। তখন ৬৭ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সেই কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ২১ জন সদস্য মারা গেছেন। নিয়মানুযায়ী ঘোষিত এই সম্মেলনটি ২০০৬ সালে হওয়ার কথা ছিল। ১৬ বছর পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণায় উজ্জীবিত নেতা-কর্মীরা। পাশাপাশি সভাপতি ও সম্পাদক হিসেবে নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন অনেকে। জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে করছেন লবিং-তদবির।
আরও জানা গেছে, ইতিমধ্যে সভাপতি পদে নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন বর্তমান কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. হেলাল উদ্দিন আহাম্মদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নুরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট আবুল কালাম মো. আজাদ, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. রুহুল আমীন, কলেজশিক্ষক ফরিদ উদ্দিন আহাম্মদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নাজনীন আলম, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন প্রমুখ।
সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন জুয়েল, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আবুল কালাম আজাদ ও আব্দুল মুন্নাফ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রাবেয়া ইসলাম ডলি, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য আবু কাউসার চৌধুরী রন্টি, সাবেক ছাত্র নেতা সাদেকুর রহমান সেলিম নিজেদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।
গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ম. নুরুল ইসলাম বলেন, সম্মেলনকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তবে ভোট হওয়ার সম্ভাবনা কম, আলোচনার মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন করা হতে পারে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল বলেন, ‘সম্মেলন বাস্তবায়নে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে সভাপতি ও সম্পাদক পদে অনেকেই প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন।