আগে দোহারের মাঠ, ঘাট ও গাছে গাছে দেখা মিলত জাতীয় পাখি দোয়েলের। তবে এখন অনেক খোঁজাখুঁজির পর ও ভাগ্য সহায় হলে দেখা মেলে দোয়েলের।
উপজেলার কয়েক জন প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দোহারে এক সময় দোয়েল, কোকিলসহ বিভিন্ন দেশীয় প্রজাতির পাখি গ্রামাঞ্চলের বিল-ঝিল, ঝোপ-ঝাড়, বাগানে কিংবা বাড়ির আঙিনায় আসত। পাখির কিচিরমিচির শব্দে ঘুম ভাঙত তাঁদের। কিন্তু এখন আর শোনা যায় না পাখির কিচিরমিচির।
উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে টিয়া, ঘুঘু, কাক, মাছরাঙাসহ কয়েক প্রজাতির দেখা মেলে। তবে দোয়েলই যেন দুষ্প্রাপ্য। গতকাল উপজেলার মাহমুদপুরে দেখা মেলে দুটি দোয়েলের।
মাহমুদপুর গ্রামের আলমাছ বলেন, ‘দোয়েলসহ বিভিন্ন প্রজাতির পাখি বিলুপ্তির পথে। নতুন প্রজন্ম পাখিটি দেখতে পায় না। আগে বাড়ির উঠানে ও দেখা যেতে জাতীয় পাখি দোয়েল। এখন সেই পাখির দেখা মিলতে গেলে খুঁজে বের করতে হয়।’
জয়পাড়া কলেজের শিক্ষার্থী মো. রাসেল বলেন, ‘যেসব পাখির ডাক ও সুর মানুষকে মুগ্ধ করত, সেই পাখিই হারিয়ে যেতে বসেছে। বিশেষ করে দোয়েল পাখির এখন আর দেখাই মিলছে না।’
দোয়েল কেন হারিয়ে যাচ্ছে তা জানতে চাইলে দোহার উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোসা. শামীম নাহার বলেন, ‘এ বিষয়টি আমাদের মধ্যে না, এটা বন বিভাগের দায়িত্বে।’
এরপর এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা আব্দুল মুমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা বন বিভাগে কাজ করি, আমরা বন নিয়ে থাকি। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের সঙ্গে কথা বলুন।’
পুনরায় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু ট্রিটমেন্টের (চিকিৎসার) কাজ করি। তাই দোয়েল হারিয়ে যাচ্ছে, সে বিষয় আমি কিছু বলতে পারছি না।’