কিছুদিন আগের কথা। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের অসহায়-দরিদ্র বেকার নারীরা কাজের খোঁজে পাড়ি জমাতেন ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে। সেই অবস্থা কিছুটা হলেও বদলেছে। এখন ঘরে বসেই চুল দিয়ে তৈরি ক্যাপের কারখানা খুলে জীবিকা নির্বাহ করছেন অনেকে। এতে খেয়েপরে স্বাচ্ছন্দ্যে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে হাজারো অসহায়-বেকার নারীর। চুল দিয়ে তাঁরা তৈরি করছেন মাথায় ব্যবহারের পরচুলা। এতে প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৮ থেকে ১০হাজার টাকা। এর মধ্য দিয়ে তাঁরা অবদান রাখছেন নিজের সংসারে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এ উপজেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত জনপদে নারী উদ্যোক্তাসহ বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় গড়ে উঠেছে চুল দিয়ে ক্যাপ তৈরির কারখানা। সেখানেই নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে যোগ দিচ্ছেন কাজে। তাদের হাতের নিখুঁত গাথুঁনির শৈল্পিক ছোঁয়ায় তৈরি চুলের ক্যাপ রপ্তানি হচ্ছে চীনসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। ঘরের দোরগোড়ায় এমন কর্মসংস্থানকে অসহায়-বেকার নারীর অনেকের কাছে স্বপ্নে পাওয়া আলাদিনের চেরাগের মত।
উপজেলার বাহাগিলী ইউপি’র নয়ানখাল ডাঙ্গারহাট গ্রামীণ হেয়ার ক্যাপ কারখানার ব্যবস্থাপক মাহফুজার রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান,এ কারখানাকে কেন্দ্র করে এলাকার অনেক বেকার নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে। এতে অচিরেই এ অঞ্চলের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট পাল্টে যাবে। ওই কারখানায় কাজ করা নুর বানু, শরিফাসহ একাধিক নারী শ্রমিক আজকের পত্রিকাকে জানান, এখন চুলের কারখানায় তাদের একমাত্র রোজগারের সম্বল।