ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসে চাহিদামতো টাকা দিলে মনোনয়নপত্রের ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে তা বৈধ ঘোষণা হয়। আর টাকা না দিলে অবৈধ ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ করেছেন কয়েকজন প্রার্থী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম।
উপজেলার ইউপিগুলোর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের শেষ সময় ছিল গত বৃহস্পতিবার। এদিন ১৩ ইউপির ৬৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। সেই সঙ্গে ৫০৯ জন সাধারণ ইউপি সদস্যের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্রও বাতিল করা হয়। তবে সংরক্ষিত নারী সদস্য পদের কোনো মনোনয়নপত্র বাতিল হয়নি।
ভুক্তভোগী প্রার্থীদের অভিযোগ, উপজেলা নির্বাচন অফিসের কিছু অসাধু ব্যক্তি অনিয়মের সঙ্গে জড়িত। টাকা দিলে মনোনয়নপত্রে ভুল থাকলেও তাঁদের বৈধ করে দেওয়া হয়েছে। আর টাকা না দিলে মনোনয়নপত্র অবৈধ করে দিয়েছেন তাঁরা।
কুণ্ডা ইউপির চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মইনুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম গত বুধবার রাতে আমাকে কল করে তাঁর কার্যালয়ে দেখা করতে বলেন। আমি অফিসে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করলে তিনি মনোনয়নপত্রের পেছনে ২০ হাজার টাকা লিখে দিয়ে বলেন, ‘আজ রাতের মধ্যে ২০ হাজার টাকা দিলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর টাকা না দিলে মনোনয়নপত্র অবৈধ হবে। তখন আমি টাকা দিয়ে মনোনয়ন বৈধ করব না বলে চলে আসি।’
নাসিরনগর সদর ইউপির সাধারণ সদস্য প্রার্থী মিহির দেব বলেন, ‘মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের বিষয়ে জানতে গত বৃহস্পতিবার বেলা ২টায় উপজেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে জানতে পারি আমার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আগের দিন বুধবার রাতে নির্বাচন অফিসের সরকারি নম্বর থেকে ফোন করে আমাকে দেখা করতে ও কিছু খরচ-পাতি চাওয়া হয়। তাঁদের কথামতো টাকা না দেওয়াতে আমার মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।’
বুড়িশ্বর ইউপির সাধারণ সদস্য প্রার্থী মো. দুলাল মিয়া জানান, তাঁর মনোনয়নপত্রে ভুল আছে বলে নির্বাচন অফিস থেকে গত বুধবার রাতে কল করে জানানো হয়। এ সময় তাঁর কাছে ৫ হাজার টাকা দাবি করা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম দাবি বলেন, কোনো প্রার্থীকে ফোন করে কিংবা অফিসে এনে মনোনয়নপত্রের ভুল সংশোধন করার সুযোগ নেই।