রংপুর জেলা পুলিশের উদ্যোগে জেলার ১১ বীর মুক্তিযোদ্ধা পুলিশ সদস্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা স্মারক দেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে গত বৃহস্পতিবার এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. ফেরদৌস আলী চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন।
অনুষ্ঠানে একাত্তরের রণাঙ্গনে সাহসী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ পুলিশের বীর সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা স্মারকসহ ফুল ও উপহারসামগ্রী দিয়ে সম্মান জানানো হয়।
এসপি ফেরদৌস আলী বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধকারী, সম্মুখসারির সমর যোদ্ধা বাংলাদেশ পুলিশের সব বীর মুক্তিযোদ্ধা। আমরা বীর এসব পুলিশ সদস্যের জন্য গর্বিত। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা অকাতরে নিজের প্রাণ দিয়েছেন। তাঁদের আকাশসম ত্যাগ স্মরণীয়।’
ফেরদৌস আলী আরও বলেন, ‘পুলিশের বীর মুক্তিযোদ্ধারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ নিয়ে আজীবন পঙ্গুত্বকে বরণ করেছেন। তাঁরা রুটিরুজি, চাকরির মায়া ত্যাগ করে ওয়্যারলেস বার্তায় বঙ্গবন্ধুর মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা পৌঁছে দিয়েছেন দেশের আনাচে-কানাচে। দেশকে শত্রুমুক্ত করে লাল সবুজ পতাকাকে বুকে ধারণ করে জয়বাংলা প্রতিধ্বনি দিয়ে শক্ত হাতে অস্ত্রটাকে আকাশের দিকে উঁচিয়েছেন।’
আনন্দপূর্ণ ও আবেগঘন সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার পরিদর্শন করেন এবং ফটোসেশনে অংশ নেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মধুসূদন রায় (প্রশাসন ও অপরাধ), সৈয়দ মোহাম্মদ ফরহাদ (ডিএসবি), মো. আনোয়ার হোসেন (সদর দপ্তর), আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন (এ সার্কেল) ও সিফাত-ই-রাব্বান (বি সার্কেল), সহকারী পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান (ডি সার্কেল), মো. আশরাফুল আলম (অতিরিক্ত দায়িত্বে সি সার্কেল), ডিআইও (১) এ কে এম শরিফুল আলম, জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুল ইসলাম, আরওআই মো. আব্দুল ওয়াহেদ প্রমুখ।