নীলফামারীর বিভিন্ন বিলে এখন ঝাঁকে ঝাঁকে পরিযায়ী পাখি ভিড় করছে। এর মধ্যে পাখির কলকাকলিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৈয়দপুর বাইপাস সড়কের পাশে ধলাগাছ এলাকার সুখীপাড়ার বিল এবং কিশোরগঞ্জ সদরের পঞ্চনার ও রনচণ্ডী ইউনিয়নের বাফলার বিল। প্রতিদিন এসব পাখি দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য পাখিপ্রেমী।
গত শুক্রবার বিকেলে সরেজমিন সুখীপাড়া বিলে গেলে ওই সব পরিযায়ী পাখির দেখা মেলে। বিলটিতে গিজগিজ করছে ঝাঁকে ঝাঁকে আসা পরিযায়ী পাখি।
স্থানীয় বাসিন্দা মমিনুল ইসলাম বলেন, 'তিন বছর ধরে সুখীপাড়ার বিলটিতে পরিযায়ী পাখির আগমন লক্ষ করা যাচ্ছে। এর আগে পরিবার-পরিজন নিয়ে পাখি দেখতে নীলসাগর ও রামসাগর যেতে হতো। এখন বাড়ির পাশেই পরিযায়ী পাখি দেখতে পাচ্ছি। জলাশয়টি ব্যক্তিমালিকানাধীন। পাখির অবস্থান সময়ে আর্থিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন জলাশয়ের মালিক। সেখানে মাছ চাষ বা চাষাবাদ করা যাচ্ছে না।'
পাখি ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন সেতুবন্ধ যুব উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন, 'বিলগুলোতে পরিযায়ী পাখির মধ্যে কালেম, ডাহুক, ছোট সরালি, বালিহাঁস, কসাই পাখি, সাদা বক, কাদাখোঁচা জাতের পাখির আগমন ঘটেছে। পরিযায়ী পাখি সংরক্ষণে আমরা নানা সচেতনতামূলক কাজ হাতে নিয়েছি। মানুষের মধ্যে প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়েছে। বিল এলাকায় বিলবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। যাতে পাখি শিকার না করা হয়।'
সৈয়দপুরের সামাজিক বনায়ন নার্সারি ও প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিকুল ইসলাম বলেন, 'জলাশয়টি পরিদর্শন করেছি। প্রচুর বিদেশি পাখি এসেছে এখানে। জলাশয়টিতে পাখিদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের জোগান রয়েছে। এখন প্রয়োজন সুষ্ঠু তদারকি।'
সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখছেদুল মোমিন বলেন, ‘গন্তব্য বদলে শীতের পাখিরা সৈয়দপুরে আসছে। এলাকাবাসী হিসেবে আমি গর্বিত। লক্ষ রাখতে হবে কেউ যেন এসব পাখি শিকার না করে। পাখি সংরক্ষণে উপজেলা পরিষদ সর্বাত্মক সহযোগিতা দেবে বলে আশি করি।’