মেডিকেলে যাঁরা পড়েন এমনিতেই তাঁদের একাডেমিক পড়াশোনার অনেক চাপ। পাশাপাশি একটা মানসিক চাপ তো আছেই। বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারে
প্রস্তুতির ওপর কিছু পরামর্শ তুলে ধরা হলো–
- প্রথমে আপনাকে নিজের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। কী পড়বেন আর কী পড়বেন না, সেটা আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে।
নিজেই নিজেকে আবিষ্কার করতে হবে। আত্মবিশ্বাসী হতে হবে।
- প্রতিদিনের পড়ার সময়টাকে ভাগ করে নিতে হবে। নিজের মতো করে একটি রুটিন করে ফেলুন। প্রতিদিনের রুটিনে ইংরেজির প্রস্তুতির জন্য সময় রাখুন। ফলে ভাইভাতেও এগিয়ে থাকবেন। চাইলে কিছুটা সময় ইংরেজিতে স্পিকিংও চর্চা করতে পারেন।
- প্রিলিতে ১৮০+ প্রশ্ন টার্গেট করতে পারেন। তাহলেই হয়ে যাবে। ভুল দাগানো থেকে বিরত থাকাই ভালো। তবে উত্তর জানেন কিন্তু কনফিউশন, এমন হলে দাগাতে পারেন।
- চেষ্টা করুন, প্রতিদিন গণিত, ইংরেজি এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে দুই ঘণ্টা পড়াশোনা করার।
সঙ্গে বিভিন্ন কোচিং সেন্টারে নিয়মিত মডেল টেস্ট দিতে পারেন। এতে করে আপনি আপনার ভুলগুলো বুঝতে পারবেন এবং সে অনুযায়ী নিজেকে ঝালিয়ে নিতে পারবেন।
- বাসায় বসে বেশি বেশি মডেল টেস্ট দিতে হবে। আর গণিতে হাত পাকিয়ে নিতে হবে, যাতে ওই অংশে নম্বর না ছুটে যায়। গণিতের শর্টকাট টেকনিকগুলো দেখে নিতে পারেন।
- মেডিকেলের চতুর্থ বর্ষ থেকেই পত্রিকা ও সাধারণ জ্ঞানের বই পড়ার অভ্যাস করা ভালো। আর সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য ধরা।
- কোনোক্রমেই আতঙ্কিত থাকা যাবে না। স্কুল ও কলেজজীবনের পড়াগুলোরই একটা একত্র রূপ থাকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায়। তাই ভয় না পেয়ে নিজেকে ঝালাই করে নেওয়াটাই আসল।
- বেসিক সায়েন্স ও ক্লিনিক্যাল—দুই ক্ষেত্রেই প্রশ্ন আসতে পারে। সে জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কমন টপিকের ওপর ফোকাস করুন। যেমন আপনাকে বলতে পারে ত্বকের লেয়ার কয়টা? কিংবা কলেরার ট্রিটমেন্ট কী?
- লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিগত বছরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করে ফেলুন। চাইলে নিজেই বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক নোট করে সাজেশন বানিয়ে ফেলতে পারেন।
- ভাইভাতে আত্মবিশ্বাসী হোন। নিজের জেলা, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জেনে যাবেন। বাংলায় প্রশ্ন করলে বাংলায় উত্তর এবং ইংরেজিতে প্রশ্ন করলে ইংরেজিতে উত্তর দেবেন। লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিগত বছরের লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সমাধান করে ফেলুন। চাইলে নিজেই বিষয়ভিত্তিক গুরুত্বপূর্ণ টপিক নোট করে সাজেশন বানিয়ে ফেলতে পারেন।
লেখক: ৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য ক্যাডার)