মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন সব নবী-রাসুলের নেতা ও সর্দার। সারা বিশ্বের মুমিন মুসলমানরা তাঁর উম্মত। উম্মত হিসেবে আমাদের তাঁর জীবনাদর্শ অনুসরণ করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমাদের জন্য আল্লাহর রাসুলের মধ্যে রয়েছে উত্তম আদর্শ।’ (সুরা আহজাব: ২১) উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.)-এর কাছে সাহাবায়ে কেরাম জানতে চাইলেন, ‘কেমন ছিল মহানবী (সা.)-এর চরিত্র?’ জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনারা কি কোরআন পড়েননি? পবিত্র কোরআনই মহানবী (সা.)-এর চরিত্র।’ (আহমদ) অর্থাৎ, পবিত্র কোরআনে যা করতে বলা হয়েছে তা তিনি করেছেন, যা করতে নিষেধ করা হয়েছে তা থেকে দূরে থেকেছেন। কোরআনের সব আদেশ-নিষেধ তিনি অক্ষরে অক্ষরে পালন করে আমাদের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
মহানবী (সা.) নিজেই বলেছেন, ‘আমাকে শিক্ষক হিসেবে পাঠানো হয়েছে।’ (ইবনে মাজাহ) ৬৩ বছরের সোনালি জীবনে তিনি আমাদের সবকিছু শিখিয়ে গেছেন। ওঠাবসা, চলাফেরা, আচার-আচরণ, খাওয়া-পরা, ঘুম-বিশ্রাম, জীবন গঠন সবই। সুতরাং তিনিই মুমিনের জীবনাদর্শ। অতএব প্রত্যেক মুমিনের মহানবী (সা.)-এর জীবনদর্শন সম্পর্কে জানতে হবে। সে জন্য কোরআন, হাদিস ও সিরাত পাঠে মনোনিবেশ করতে হবে এবং নিজেদের জীবনে তা বাস্তবায়নের চেষ্টা করতে হবে।
মহানবী (সা.)-এর আদর্শ সমুন্নত রাখতে তাঁর সম্মান-মর্যাদা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। এ লক্ষ্যে বেশি বেশি দরুদ শরিফ পড়া মুমিনের অন্যতম কর্তব্য। মহানবী (সা.)-এর নাম শুনলেই দরুদ পড়া আবশ্যক। এ ছাড়া দোয়া, মোনাজাত, নামাজের শেষ বৈঠকসহ অনেক ইবাদতেই মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশনা রয়েছে। পবিত্র কোরআনে দরুদ পড়ার নির্দেশ নিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ ও তাঁর ফেরেশতারা নবীর প্রতি দরুদ পড়েন। সুতরাং হে মুমিনগণ, তার প্রতি দরুদ ও সালাম পেশ করো।’ (সুরা আহজাব: ৫৬)
মুনীরুল ইসলাম,ইসলামবিষয়ক গবেষক