হোম > ছাপা সংস্করণ

নৌকা ডোবাতে ৭০ স্বতন্ত্র

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি

আর মাত্র দুই দিন পর ২৬ ডিসেম্বর (রোববার) চতুর্থ ধাপে মৌলভীবাজারের দুই উপজেলার ২০ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) নির্বাচনের ভোট। এসব ইউপিতে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ মোট ৭০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। জোরে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচার। প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। কিন্তু বিগত সময় দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতিসহ করোনাকালে চেয়ারম্যানরা মানুষের পাশে না থাকায় অনেক ভোটার ক্ষুব্ধ। তাঁরা পরিবর্তন চান, চান নতুন, সৎ ও যোগ্য প্রার্থী।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় ১২টি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী ১২ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের তিনজন, স্বতন্ত্র ৪৫ জন। রাজনগর উপজেলার আটটি ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থী আটজন ও স্বতন্ত্র ২৫ জন।

অনেক ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিগত পাঁচ বছরের হিসাব ভালোভাবেই কষছেন তাঁরা। ভোটারের অভিযোগ, অধিকাংশ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য গত পাঁচ বছরে ঠিকমতো তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি। তাঁরা নানা দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি করেছেন। বরাদ্দের অধিকাংশ আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে দিয়েছেন। প্রকৃত অসহায় মানুষ সহায়তা পাননি।

সহায়তা না করা, দুর্যোগে পাশে না থাকা এবং পরিকল্পিতভাবে দ্বন্দ্ব বাঁধিয়ে থানা-পুলিশের মাধ্যমে হয়রানি, টাকা খাওয়ার অভিযোগ রয়েছে বর্তমান অনেক চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ জন্য ভোটাররা চান নতুন মুখ।

মুন্সিবাজার ইউপির ভোটার মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। করোনার সময় চেয়ারম্যান কোনো সহযোগিতা করেননি। ইউপিতে অনেক দিন গিয়েও পাইনি। করোনার সময় অনেক কষ্টে দিন গেছে। এখন আবার ভোট চাইতে এসেছেন। আমরা নতুন চেয়ারম্যান চাই, যিনি সুখে-দুঃখে পাশে থাকবেন।’

একই ইউপির প্রবীণ ভোটার আয়না মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ‘আমিসহ অনেকের নামে বর্তমান চেয়ারম্যান বিভিন্ন মানুষ দিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছেন। তাঁর কথামতো চললে এ মামলা হতো না।’

চাঁদনীঘাট ইউপির ভোটার খালেদ আহমেদ বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য গত পাঁচ বছরে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করেননি। এলাকার বিভিন্ন সমস্যা সমাধান না করে টাকা খেয়ে সমস্যা বাড়িয়েছেন। এমনকি রাতের আঁধারে নিজের লোক দেখে চাল বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন দুর্যোগেও পাশে পাওয়া যায়নি।’

উত্তরভাগ ইউপির ভোটার সুরুক আহমদ বলেন, ‘ভোট এলেই আমাদের কদর বেড়ে যায় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্যদের কাছে। করোনাকালে তাঁদের কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু সাহায্য পাইনি। যাঁরা তখন খোঁজখবর নিয়েছে তাঁদেরই এবার চাই।’

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মৌলভীবাজার জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জহর লাল দত্ত বলেন, জনপ্রতিনিধি জনগণের সেবক। তাঁরা জনগণের পাশে থাকবেন সেবা করবেন, সেই শপথ তাঁরা নেন। কিন্তু সেই শপথ তাঁরা রক্ষা করেন না। সরকারি বরাদ্দের সুষম বণ্টন ও দুর্যোগে মানুষের পাশে থাকা জনপ্রতিনিধির কাজ। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হওয়ার পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেন ব্যক্তি স্বার্থে।

তিনি আরও বলেন, করোনাকালে জনগণকে যে পরিমাণ সাহায্য প্রয়োজন তা তাঁরা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। ফলে বিক্ষুব্ধ মানুষের বিকল্প ভাবাটাও স্বাভাবিক।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ