পঞ্চগড়ে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’। এই জাতের আলু বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে চাষ করা হয়েছে। দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে দ্বিগুণ ফলন পেয়েছেন চাষিরা।
কৃষি ও পুষ্টিবিদেরা বলছেন, দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে জাপানি জাতের এই আলুর ফলন দ্বিগুণ। এর সঙ্গে আলুর ভেতরের রং উজ্জ্বল বেগুনি, যা দেশি মিষ্টি আলুর চেয়ে অনেক বেশি সুস্বাদু ও পুষ্টিসমৃদ্ধ।
কৃষি বিভাগ জানায়, পঞ্চগড়ে চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে জাপানি মিষ্টি আলু ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’। কোন্দাল ফসল উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষি বিভাগ জাপান থেকে পুষ্টিসমৃদ্ধ ও উচ্চফলনশীল এই জাত এনে স্থানীয় চাষিদের সরবরাহ করেছে। চলতি মৌসুমে জেলায় এক শ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে এক হেক্টর জমিতে ‘ওকিনিয়া’ ও ‘মুরাসাকি’ জাতের মিষ্টি আলুর চাষ হয়েছে।
সাধারণত দেশি জাতের মিষ্টি আলু হেক্টরপ্রতি ১৮ থেকে ২০ মেট্রিক টন ফলন হলেও জাপানি জাতের নতুন আলুর ফলন এসেছে হেক্টরপ্রতি ৪০ থেকে ৪৫ মেট্রিক টন।
বোদা উপজেলার মাড়েয়া কমলাপুকুরী এলাকার চাষি জালাল উদ্দীন জানান, চলতি মৌসুমে কৃষি বিভাগের সহায়তায় তিনি ২০ শতক জমিতে জাপানি জাতের মিষ্টি আলু চাষ করেছেন। দেশি আলুর চেয়ে ফলন পেয়েছেন প্রায় দ্বিগুণ।
দেবীগঞ্জ উপজেলার ভাউলাগঞ্জের কানা বালাপাড়া গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম নতুন জাতের এই আলু ২১ শতক জমিতে চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমার দেখাদেখি অন্য কৃষকেরাও আগামী মৌসুমে এই জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ দেখিয়েছেন।’
পঞ্চগড় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক শাহ আলম মিয়া বলেন, ‘চলতি মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় এক হেক্টর জমিতে জাপানি নতুন জাতের আলুর চাষ হয়েছে। উচ্চফলনশীল ও পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ জাপানি এ মিষ্টি আলুর আবাদ করে খুশি কৃষকেরা। আগামী মৌসুমে আরও অধিক জমিতে এই জাতের আলু চাষ করার আগ্রহ দেখাচ্ছেন চাষিরা। এতে জেলায় মিষ্টি আলুর চাষ আরও সম্প্রসারিত হবে।