নওগাঁর নিয়ামতপুরে যৌতুকের টাকা না পেয়ে দুই মাস ধরে এক গৃহবধূকে ঘরছাড়া করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় তিনি তাঁর স্বামী বেণু (৪৫) ও শ্বশুর মকবুল হোসেনের (৬৫) বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই গৃহবধূর নাম রোজিনা খাতুন (৪০)। তিনি উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের সাতঘরা গ্রামের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০ বছর আগে রোজিনা খাতুনের সঙ্গে উপজেলার পাঁড়ইল ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে বেণুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য চাপ দেওয়া হয়। বিভিন্ন সময়ে বেণুকে ১ লাখ টাকা দেওয়া হয়। পরে আবারও ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন তাঁরা। টাকা দিতে অপারগতা জানালে মারধর করে রোজিনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।
রোজিনা খাতুন জানান, বিয়ের পর থেকেই তাঁকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয়। যৌতুকের টাকা ২৫ হাজার করে দুইবার এবং মেয়ের বিয়ের সময় তাঁর বাবা আরও ৫০ হাজার টাকা দেন। তাঁর স্বামী নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে দরজা খুলতে দেরি হলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করেন। এখন নতুন করে তাঁর শ্বশুরের প্ররোচনায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। সেই সঙ্গে তালাক দেওয়ার হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন।
রোজিনা খাতুনের চাচা আব্দুল আজিজ বলেন, মেয়েটিকে বিয়ে দেওয়ার পর থেকে অশান্তিতে রয়েছে। এর আগেও বিভিন্ন সময় ঝামেলার কারণে দুই-তিনবার স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু বারবার একই অবস্থা।
রোজিনা খাতুনের স্বামী বেণু বলেন, ‘আমাদের মেয়ের বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বয়সে এগুলো করা সম্ভব কী? সে আমার কোনো কথা শোনে না। কোনো কাজ গুরুত্বসহকারে শোনে না। শুধু বাবার বাড়ি যেতে চায়। বাধা দিলে উচ্চবাচ্য করে।’
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’