হোম > ছাপা সংস্করণ

কূটনীতি কি যুদ্ধ ঠেকাতে পারে

ইউক্রেনে একটি বিস্তৃত যুদ্ধের চিন্তা করাও অনেক ক্ষেত্রে হতে পারে ভয়ংকর। কারণ, রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করলে হাজারো মানুষ নিহত হবে, বাস্তুচ্যুত হবে আরও অনেকে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে গুরুতর, মানবিক সংকট হবে বিধ্বংসী। এরপরও ইউক্রেনের চারপাশ ঘিরে রেখেছে রুশ বাহিনী এবং সীমান্তে এক পা বাড়ালে ভয়ানক পরিণতির হুমকি দিয়ে চলেছে পশ্চিমারা।

শান্তিপূর্ণ এবং টেকসই উপায়ে এই সংঘর্ষ থেকে বেরিয়ে আসার কি কোনো কূটনৈতিক পথ আছে? কূটনীতিকেরা বলছেন ‘অফ র‍্যাম্প’-এর কথা, এটি এমন একটি পন্থা যা সব পক্ষকে যুদ্ধের পথ থেকে সরিয়ে আনতে পারে। কিন্তু এমন পথ খুঁজে পাওয়া সহজ নয়। কারণ, কোনো আপসই বিনা মূল্যে আসে না। তবে রক্তপাত এড়িয়ে ইউক্রেন সংকট সমাধানের সম্ভাব্য কিছু উপায়ও আছে।

পুতিনকে প্ররোচিত করা

চলমান পরিস্থিতিতে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে বোঝানোর মাধ্যমে পশ্চিমা শক্তিগুলো কার্যকরভাবে যেকোনো আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে পারে। তাঁকে বোঝাতে হবে, যুদ্ধক্ষেত্রে সামরিক সাফল্য অর্জন করলেও, হতাহত, অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা এবং কূটনৈতিক ধাক্কা এত বড় হবে, যা সামলে ওঠা রাশিয়ার জন্য কঠিন। এ ছাড়া বছরের পর বছর ধরে একটি ব্যয়বহুল যুদ্ধে আটকে থাকার ‘ভয়’ দেখিয়েও পুতিনকে প্ররোচিত করা সম্ভব।

পুতিনকে বিশ্বাস করাতে হবে যে যুদ্ধের খরচ তাঁর অভ্যন্তরীণ সমর্থন কমিয়ে দেবে। এমনকি তাঁর নেতৃত্বও হুমকির মুখে পড়তে পারে। কিন্তু পুতিন যদি ইউক্রেনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান এবং ন্যাটোকে দুর্বল করতে চান, তাহলে এখন সেই অবস্থান থেকে তাঁর পিছিয়ে আসার তেমন কোনো কারণ নেই।

ন্যাটো-রাশিয়া চুক্তি

পশ্চিমা শক্তিগুলো স্পষ্ট করেছে যে তারা ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার মতো মূল নীতিগুলোর সঙ্গে আপস করবে না। ইউক্রেনের ন্যাটোতে যোগদানের অনুমতি দেওয়া নিয়ে রাশিয়ার আপত্তি থাকলেও, ন্যাটো যদি ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে; তাহলে এটি মস্কোর অন্তত কিছু উদ্বেগের সমাধান করতে পারে।

আর অনেক ক্ষেত্রে পুতিন ইতিমধ্যেই এখানে অনেকটা এগিয়ে গেছেন। কারণ, নতুন করে রাশিয়ার শর্তে নিরাপত্তা সংলাপে যুক্ত হয়েছে ইউরোপ।

ইউক্রেনের নিরপেক্ষতা

ইউক্রেনকে কী কিছু নিরপেক্ষতা অবলম্বন করতে রাজি করানো যেতে পারে? অস্বীকার করা হলেও এমন খবর রয়েছে যে ইউক্রেন ফিনল্যান্ডকে মডেল হিসেবে নিতে পারে বলে পরামর্শ দিয়েছিলেন ফরাসি কর্মকর্তারা।

শীতল যুদ্ধের সময় ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিক নিরপেক্ষতা গ্রহণ করেছিল। এটি একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ছিল, যারা ন্যাটোর বাইরে ছিল এবং থাকবে। কিয়েভও কি একই পথে হাঁটতে পারে? যদি সেটি হয়, তাহলে তা ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর আগ্রাসন ঠেকাতে পারে। কারণ, ইউক্রেন কখনো ন্যাটোতে যোগ না দেওয়ার ঘোষণা দিলে তাত্ত্বিকভাবে তা ভ্লাদিমির পুতিনকে সন্তুষ্ট করবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ