বান্দরবানের আলীকদমে নির্বাচনে জিতিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলমের বিরুদ্ধে।
ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল করে প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার কথা বলে চৈক্ষ্যং ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী আবু নাঈমের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। এই অভিযোগে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর লিখিত দিয়েছেন ভুক্তভোগী প্রার্থী।
অভিযুক্ত শফিউল আলম উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক। আবু নাঈম ছাড়াও একাধিক প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপে চৈক্ষ্যং ইউপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে টাকা দেওয়া সদস্য প্রার্থী আবু নাঈম পরাজিত হন।
ভুক্তভোগী আবু নাঈম বলেন, শফিউল আলম নিজেকে চৈক্ষ্যং ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট কেন্দ্রের আওয়ামী লীগের দায়িত্ব প্রাপ্ত সচিব দাবি করে ৩ দফায় মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। এ ছাড়া তাঁর ভগ্নিপতি জামাল উদ্দীন ও প্রতিবেশী আবু সৈয়দের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারের সময় চা খরচের কথা বলে বেশ কয়েকবার টাকা নিয়েছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, তৃতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচনে চৈক্ষ্যং ইউপির ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে প্রার্থী হয় ছিলেন ৬ জন।
তাঁদের মধ্যে কয়েকজন প্রার্থীকে ভোটে জিতিয়ে দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন শফিউল আলম। কিন্তু তাঁরা মোটা অঙ্কের টাকা দিতে সম্মত হননি। শেষে হাত খরচ বাবদ টাকা নিয়েছেন বলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অভিযোগ তোলেন।
প্রতারণার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শফিউল আলম বলেন, ‘আমি কোনো প্রার্থীর কাছে টাকা নিইনি। অভিযোগকারী আবু নাঈম মিথ্যা কথা বলে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। তবে অভিযোগকারীর এমন শক্তি নাই যে আমাকে কিছু করবে।’
জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ‘অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’