সালিস বৈঠকে কিশোরীকে বিয়ে করা বাউফলের কনকদিয়া ইউপির সেই চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন আদালত। গতকাল সোমবার দুপুরে পটুয়াখালী আদালত এ সমন জারি করেন।
এর আগে, গত রোববার বিকেলে আদালতের দেওয়া নির্দেশে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তকারী কর্মকর্তা সোবাহান খান পটুয়াখালী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শাহিন হাওলাদারসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।
বাদী পক্ষের আইনজীবী আল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত রোববার ৭২ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পিবিআই। সোমবার আদালত তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আলোচিত চেয়ারম্যান শাহিনসহ বাকি আসামিদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।’
উল্লেখ্য এ বছরের ২৫ জুন কনকদিয়া ইউপির চেয়ারম্যান শাহিন হাওলাদার তাঁর কার্যালয়ে একটি প্রেমের সম্পর্কের সালিস করছিলেন। এ সময় সালিসে উপস্থিত ওই কিশোরীকে তাঁর পছন্দ হয়। তিনি কাজি ডেকে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন। বিয়ের কাবিননামায় তার জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেওয়া জন্মনিবন্ধনে তাঁর জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল ছিল। পরে ২৬ জুন ওই কিশোরীকে তালাক দেন চেয়ারম্যান। এ ঘটনায় শাহিন হাওলাদারসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা করা হয়।