কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে বাণিজ্যিকভাবে ১৪ যুবক থাই পেয়ারার চাষ করছেন। বাগান করার ৯ মাসের মাথায় ভালো ফলন পাচ্ছেন। ইতিমধ্যে ৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন। আশা করছেন বাগানের পেয়ারা বিক্রি করে প্রতিবছর ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ করবেন তাঁরা।
ওই যুবকদের দেখে এলাকার অনেকেই এখন পেয়ারা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। থাই পেয়ারা চাষ শুরু করে তাঁদের বেকারত্ব দূর হওয়ার পাশাপাশি বাগানে প্রায় ৪০ জন শ্রমিকের কাজের সুযোগ হয়েছে।
উপজেলা সদর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ফুলবাড়ী-শিমুলবাড়ি সড়কের পাশে চার একর জমি লিজ নিয়ে গত বছরের জুনে তাঁরা পেয়ারা চাষ শুরু করেন। উর্বর মাটি ও অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি সবল চারা, জৈব সার, সেচ ও নিয়মিত পরিচর্যা করায় অল্প দিনেই প্রতিটি গাছ থেকে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছেন।
১৪ যুবকের গঠন করা ফ্রেন্ডস অ্যাগ্রোর পরিচালক মাসুদ রানা জানান, ২০২০ সালের প্রথম দিকে তিনি রাজশাহীতে ঘুরতে গিয়ে ওখানকার এক পেয়ারাচাষির সঙ্গে পরিচিত হন। কৌতূহলী হয়ে তাঁর বাগান দেখেন ও বাগান থেকে লাভের হিসাব শুনে নিজেও থাই পেয়ারার বাগান করার সিদ্ধান্ত নেন। চার একর জমি ১২ বছরের জন্য ইজারা নিয়েছি।’
উদ্যোক্তা এরশাদ হোসেন বলেন, ‘এ পর্যন্ত আমাদের ৮ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। গত বছর চারা রোপণের ৯ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা শুরু করি। বাগানে ৩ হাজার ৭০০ গাছের সবগুলোতে মোটামুটি ভালো ফল ধরেছে। আমরা আশা করছি, প্রতিবছর খরচ বাদে বাগানের পেয়ারা বিক্রি করে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা লাভ করতে পারব।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন বলেন, ‘ফ্রেন্ডস অ্যাগ্রো গ্রুপ থাই পেয়ারা চাষে উপজেলার কৃষিতে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছেন।