কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে বিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রীদের উত্ত্যক্তকারীদের বাধা দেওয়ায় বাড়ি ফেরার পথ চার শিক্ষিকার ওপর হামলা করেছে বখাটেরা। এ ঘটনার বিচারের দাবি করে অর্ধ-বার্ষিকী পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। বিদ্যালয়টির বর্তমান, প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী ও এলাকাবাসী এই বিক্ষোভে অংশ নেন।
গত রোববার জঙ্গলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের ওই ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁরা।
জঙ্গলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, গত রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা চলাকালীন শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে দুই ছাত্রীর ছবি তোলার চেষ্টা করে বহিরাগত চার যুবক। এ সময় বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শাহনাজ পারভীন প্রতিবাদ করলে উত্তেজিত হয়ে চলে যায় বহিরাগতরা।
পরে স্কুল ছুটির পর অটোরিকশা করে বাড়ির ফেরার পথে স্থানীয় দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে অভিযুক্তদের মধ্যে দুজন অটোরিকশার গতিরোধ করে। এ সময় তাঁরা শাহনাজ পারভীনসহ চার শিক্ষিকাকে আটকে লাঞ্ছিত করেন। একপর্যায়ে তাঁরা শিক্ষিকাদের গায়ে ময়লা নিক্ষেপ করে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার সকাল ১১টা থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বন্ধ রেখে স্কুল প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর প্রতিবাদমুখর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে জঙ্গলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয় এলাকা। বিক্ষোভকারীরা এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। একই সঙ্গে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধের দাবি করেন তাঁরা। বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, দাবি মানা না আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।
হামলা পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে বিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে জঙ্গলবাড়ী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পরিচালনা কমিটির সদস্যদের সঙ্গে আলোচনায় বসা হবে বলেও জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান।
জানতে চাইলে করিমগঞ্জ থানার বারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম সিদ্দিকী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি এবং আমার প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা স্কুলে গিয়েছি। শিক্ষকদের অভিযোগ দিতে বলেছি। অভিযোগ পেলে এ ঘটনায় জড়িত সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।’